কলারোয়ায় কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন সফল করতে মাঠে নেমেছেন প্রশাসন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন ছিলো পুলিশ।
শুক্রবার (২ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সবজি বাজার, মাছ বাজার ও মুদি দোকান খোলা থাকলেও অনান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো বন্ধ। পৌর সদরসহ উপজেলার দেয়াড়া, খোর্দ্দ, সরসকাটি, বামনখালি, সোনাবাড়িয়া, গয়ড়া, বালিয়াডাঙ্গা হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ন স্থানে কড়া নজরদারিতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। এলাকা ভিত্তিক জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় চলাচলসহ বাজারে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
ভ্রাম্যমান আদালতে মাস্ক পরিধান না করা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন না করার অপরাধে কয়েকজনকে সাড়ে ১৭ শত টাকা জরিমান করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে দিনব্যাপি বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
আদালত পরিচালিত টিমের সদস্য ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তার হোসেন।
এ সময় আদালতকে সহায়তা করেন পুলিশ, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন আনসার কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ। এ দিকে ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে দেখা যায়। এ ছাড়া, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবিরের নির্দেশনায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জেল্ল্লাল হোসেনের সহায়তায় পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালনে ছিলেন কঠোর। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেও লকডাউন বাস্তবায়নে এলাকাভিত্তিক ভ্থমিকা ছিলো লক্ষনীয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, করোনা মোকাবেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে ’আপনারা ঘরে থাকুন, আমরা বাহিরে আছি। তিনি সকলকে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় ও সকল সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানিয়ে এই দুর্যোগময় মূহুর্ত মোকাবেলায় সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, আর্থিক জরিমানা করায় লক্ষ্য নয়,আপনাদের সুরক্ষিত রাখতেই সরকারী বিধি নিষেধ অমান্যকারীদের জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]