করোনায় টালমাটাল দেশের সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরা। জেলাজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতোমধ্যে বিধি-নিষেধ আরোপ করে লকডাউন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গোটা জেলায় শনিবার থেকে ৭দিনের জন্য শুরু হয়েছে সেই লকডাউন। সকাল থেকে দূরপাল্লা কিংবা আন্ত:জেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, মার্কেট, দোকানপাট। তবে বন্ধ নেই ইজিবাইক, মহেন্দ্র ও স্থানীয় যানবাহন। রীতিমতো ঠেসাঠেসি করে যাত্রী নিয়ে মহাসড়কসহ স্থানীয় গ্রামাঞ্চলের রুটে হরহামেশা চলতে দেখা গেছে মহেন্দ্র, ইজিবাইককে।
শেখ সেলিম হোসেন নামে কলারোয়ার এক ব্যবসায়ী জানান, ‘সকাল থেকে দফায় দফায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা লকডাউন বাস্তবায়নে মহড়া দিয়েছেন। চিরচেনা জনসমাগমপূর্ণ চৌরাস্তা মোড় থেকে কাচাবাজার এলাকা ছিলো অনেকটা জনশুন্য। গোটা কলারোয়া বাজারই হয়ে পড়ে ফাঁকা। তবে রাস্তায় অন্যদিনের তুলনায় যাত্রীবাহী ইজিবাইক ও মহেন্দ্র বেশি চলতে দেখা গেছে। এমনকি হাসপাতাল রোডের মহেন্দ্র স্ট্যান্ড, সরকারি কলেজ বাসস্ট্যান্ড, নদীর ওপার মহেন্দ্র স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট রুটে ওইসকল যানবাহনকে চলতে দেখা গেছে।’
হাসানুর, সোহাগ, সাগর, মোস্তাকসহ অনেকে জানান, ‘দোকানপাট বন্ধের পাশাপাশি মানুষের যাতায়াত বন্ধ করলে করোনা অনেকটা রোধ করা যেতো। ইজিবাইক, মহেন্দ্রযোগে মানুষ একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করার ফলে করোনা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।’
তারা ইজিবাইক, মহেন্দ্রসহ স্থানীয় যানবাহন চলাচল বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হওয়ার অনুরোধ করেন।
এদিকে, শনিবার অসহনীয় গরমের সাথে যোগ হয় বিদ্যুত ‘না থাকা’। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুত না থাকায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]