কলারোয়ায় আওয়ামীলীগের আয়োজনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে ও দ্রুত বিচারের দাবীতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৩০ আগস্ট) বিকালে পাবলিক ইনস্টিটিউট চত্ত্বরে ওই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ীবহরে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি’র ববোর্চিত হামলার ’১৮ বছর’ পূর্তিতে এদিনে দ্রুত বিচারের দাবীতে ওই সভার আয়োজন করে দলটি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাস্টার খায়বার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির হোসেন হেলালের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আ.লীগ নেতা এসএম আমজাদ হোসেন, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান ছামসুদ্দীন আল মাসুদ বাবু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন, পৌর আ.লীগ সভাপতি সহিদুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, কপাই সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ কামাল রেজা, আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম লিটন, মাস্টার আজিজুর রহমান, মাস্টার হাফিজুর রহমান, মফিজুল ইসলাম, আনছার আলী, রহিমা বেগম কাজল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান মুন্না, আবু সাঈদ, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা আব্দুস সালাম, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ফাহিম হোসেন ফাহিমসহ আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, ২০০২ সালের এই দিনে (৩০আগস্ট) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা থেকে যশোর যাওয়ার পথে কলারোয়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন। এতে তিনি অক্ষত থাকলেও তার ব্যবহৃত গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন তার সফরসঙ্গীরা। এ ঘটনার পর কলারোয়া থানায় মামলা রেকর্ড না হওয়ায় আদালতে মামলা করেন যুদ্ধকালিন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন। কিছুদিন পর সেই মামলাও খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে এক যুগ পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। এ সংক্রান্ত ৩টি মামলায় পুলিশ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।
তিনি আরও বলেন, ২০০২ সালের ২৬ আগস্ট কলারোয়ার হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়ে সাতক্ষীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা খুলনা সফরকালে এ খবর পেয়ে তাকে দেখতে সাতক্ষীরা আসেন। নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে শেখ হাসিনা হাসপাতাল মোড়ে দাঁড়িয়ে এক পথসভায় সরকারের সমালোচনা করেন। এরপরই তিনি যশোর-সাতক্ষীরা ভায়া কলারোয়া মহাসড়ক পথে যশোরের উদ্দেশে সাতক্ষীরা ত্যাগ করেন। পথিমধ্যে কলারোয়ায় এই দিনে (৩০ আগস্ট) বিএনপি’র করা ববোর্চিত গাড়িবহরে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও দ্রুত বিচারের দাবী জানান নেতৃবৃন্দ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]