কলারোয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব লক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে পরবর্তী প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে শনিবার এই পূজা উদযাপন করা হলো।
লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে কলারোয়ার বিভিন্ন মন্দিরের পাশাপাশি ঘরোয়া পরিবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি অনেকের ঘরবাড়ির আঙিনায় আঁকা হয় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আলপনা। সেই সাথে রাতে প্রতিটি বাড়িতে মাটির প্রদীপ/মোমবাতি জ্বালানো হয়।
সংশ্লিষ্টারা জানিয়েছেন, এই পূজা কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত। ‘কো জাগর্তী’ থেকে কোজাগরী শব্দটি এসেছে।
শাস্ত্রমতে, বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল রাত আশ্বিনের পূর্ণিমা তিথিতে ধনসম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে দেবী প্রশ্ন করেন ‘কে জেগে আছো? তাই ধন-ধান্যের আশায় এই পূজার আয়োজন করা হয়। উন্নতি, আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, উর্বরতা, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। প্রাচীনকাল থেকেই রাজা-মহারাজা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ গৃহস্থ পর্যন্ত সবাই এই দেবীর পূজা করে আসছেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রচলিত বিশ্বাস- দেবী লক্ষ্মী ধন-সম্পদ তথা ঐশ্বর্যের প্রতীক। লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার মধ্য দিয়েই দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার বিদায়ের শোক ভুলে আবার আনন্দে মেতে উঠেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]