সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন্ হাট বাজারে এই ভরা মৌসুমে শাক সবজির বাজার লাগামহীন ঘোড়ার মত বেড়েই চলছে। অব্যাহত দাম বাড়ার কারনে সাধারন মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। দৈনন্দিন বাজারে তাদের গুনতে হচ্ছে উচ্চ মুল্য। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা আরও করুন। একদিকে চালের দাম বেশি অন্য দিকে সবজির বাজারে আগুন ।
আর এতে করে খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে এ নিম্ন আয়ের মানুষ গুলোকে। এদিকে উপজেলার কলারোয়ার হাট, খোরদো, রায়টা, কাজির হাট , দেয়াড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, এলাকার উৎপাদিত শাকসজি বাজারে তেমন দেখা যাচ্ছে না বাহির থেকে তেমন আমদানি নেই যার কারনে বাজার ব্যপক উর্ধগতি ।
বর্তমান বাজারে আলু ৪৫টাকা কেজি, বেগুন ৬০টাকা, পিয়াজ ৯০টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫০টাকা, শসা ৪০থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরুল ২৫ থেকে ৩০টাকা, কাঁচা কলা ৫০থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ২০টাকা, পটল ৪০থেকে ৫০টাকা। পুই শাক ২৫ টাকা, , করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর লতি ২০টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।
যে সকল গ্রামে শাকসবজি কৃষকরা নিজে উৎপাদন করে তাদের মধ্যে, খোরদো গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান, ,রবুনাথ পুর গ্রামের বরকততুল্লাহ পিছলাপোল গ্রামের আবুবক্কার সহ আরো অনেকে জানান , তারা বাড়ীর পার্শে ভিটেতে বিভিন্ন্ ধরনের শাকসবজি আবাদ করেছে কিন্ত একটানা বর্ষা থাকার কারনে শাকসবজি সহ বেগুন, শিম, কাঁচা মরিচ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে বৃষ্টি বাদল কমে গেলে গাছ গুলির পচন রোধ হলে আবার বাজার স্বাভাবিক হতে পারে।
খোরদোর সবজি বিক্রেতারা জানান, তারা যেসব জায়গা থেকে কাচাঁ সবজি পাইকারী দরে ক্রয় করে এনে এখানে খুচরা বিক্রয় করত সম্প্রতি সেসব এলাকায় কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে সেসব গাছ পঁচে মরে গেছে। ফলে তারা তাদের চাহিদা মত সবজি ক্রয় করতে পারছে না। যতটুকু কিনতে পারছে সে গুলোও কিনতে হচ্ছে চড়া দামে । আর তাই পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারনে তার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে চাষীরা নতুন সবজি উৎপাদন করলে সবজির দাম কমতে থাকবে বলে তিনি যোগ করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]