কলারোয়ার জয়নগরের কৃপারামপুর নওয়াপাড়ায় স্বামীর পরকিয়া ও যৌতুক দাবির প্রতিবাদ করায় স্ত্রী শাজেদা খাতুনকে মারাত্মকভাবে জখম করেছে পাষন্ড স্বামী নাছির মোড়ল।
সরেজমিনে শিংহলাল আহত সাজেদা খাতুনের বাবার বাড়িতে গেলে তিনি নিজ মুখে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ধানদিয়া চৌরাস্তার পার্শ্ববর্তী গ্রাম কৃপারামপুর নওয়াপাড়ার মৃত ওবাদুল্লাহ মোড়লের ছেলে নাছির মোড়ল (৩৫)। দীর্ঘ ১০ বছর আগে বিয়ে হয়, কলারোয়ার শিংহলাল গ্রামের সবেদ আলী গাজীর মেয়ে শাজেদা খাতুন (২৬)। বিবাহের বছর ঘুরতে না ঘুরতে নানা কারণে যেমন- যৌতুকের দাবি, স্বামীর পরকিয়া, সাংসারিক কাজ নিয়ে নাছির মোড়ল তার স্ত্রী সাজেদা খাতুনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এসবের প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি।
গত ৬ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে যৌতুকের টাকা ও স্বামীর পরকিয়ার বিষয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি চলার এক পর্যায়ে স্বামী নাছির মোড়ল তার স্ত্রীকে ডাইস (রাজমিস্ত্রীর কাজে ব্যাবহৃত যন্ত্রাংশ) ও ঝাটা দিয়ে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তার সামনে থাকা ইট দিয়ে স্ত্রী সাজেদা খাতুনের মাথায় আঘাত করে। সেই আঘাতে স্ত্রীর মারাত্মকভাবে জখম হয়। তারপর জখম অবস্থায় স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
সাজেদা খাতুন আরও জানিয়েছেন, স্বামীর পরকিয়ার সম্পর্ক পাটকেলঘাটা থানার গড়েরডাংগা গ্রামের সাথী আক্তারের সাথে। গত দেড় মাস আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান পাষন্ড স্বামী নাছির মোড়ল।
আহত সাজেদা খাতুনের জখম হওয়ার খবরটি প্রতিবেশি সূত্রে জানতে পারে তার পিতা-মাতা। তারপর সেখান থেকে আহত সাজেদা খাতুনকে নিয়ে তার পিতা কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে, ঘটনাটির বিষয়ে নাছির মোড়লের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাথী আক্তারের সাথে তার পরকিয়ার সম্পর্ক সত্য, তবে এখন আর সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতুকের দাবির টাকার বিষয়টি সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে, কৃপারামপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, নাছির মোড়ল প্রচন্ড রাগী ও বদমেজাজি। নানা কারণে স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে মারধর করে।
সম্প্রতি ৬ জুন তারিখের স্বামী/ স্ত্রীর মারপিটের ঘটনায় প্রতিবেশি কয়েকজন ঠেকাতে আসলে নাছির মোড়লের আক্রমনের শিকার হয়েছেন। তাদের একজনের চোখের পাশে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, অন্যজনের হাত ভেঙ্গে গেছে বলেও জানান তারা।
যৌতুকের দাবি ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনার বিষয়ে কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]