কলারোয়া উপজেলার মুরারিকাঠি গ্রামে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত দুই ঘটিকার দিকে। নিহত গৃহবধুর নাম লাবনী(২০) সে উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের শুভংকরকাটি গ্রামের ইসরাইল হোসেনের মেয়ে।
নিহত লাবনীর মা শেলী বেগম বলেন, দেড় বছর পূর্বে আমার মেয়ে আমাদের অসম্মতিতে বিয়ে করে পৌর সদরের মুরারীকাটি গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে সাঈদকে। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়ে লাবনীকে নানা ভাবে অত্যাচার করে ও বিভিন্ন সময়ে ফোলা জখম করে আমার বাড়িতে দিয়ে যায়। তা ছাড়াও বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য তালবাহানা করে। আমার সামনেও আমার মেয়ের উপর আঘাত করে। আমি তাকে বলি আঘাত না করার জন্য। সে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় গলা টিপে ধরতো। সাইদ গতরাতে আমার মেয়েকে পিটিয়ে ও গলা চেপে হত্যা করে ঘরের আঁড়ায় ঝুলিয়ে রাখে যাতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে পারে। পরবর্তীতে সোমবার রাত আড়াইটার দিকে আমাকে ফোন করে বলে আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহত লাবনীর স্বামী অভিযুক্ত সাঈদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা একই খাটে একই ঘরে ঘুম পড়ি। রাতের কোনো এক সময় আমার পাশ থেকে উঠে ঘরের আঁড়ায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরবর্তীতে আমি ঘুম থেকে সজাগ হয়ে দেখতে পাই আমার স্ত্রী লাবনী ঝুলে আছে। তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলহাজ্ব মীর খায়রুল কবীর বলেন, সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ডাক্তারদের সহায়তায় লাশ সুরতাহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। লাশ পোস্টমর্টেম এর জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার নিহতের মা শেলী বাদি হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]