কলারোয়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ফুটবল মাঠের ঠিক দক্ষিণ পশ্চিম কর্নারে স্থাপিত কলারোয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় স্তম্ভ "স্বাধীনতা"। ২০০১ সালের ৬ জুলাই এর শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী মো. আব্দুল জলিল (বর্তমানে তিনি প্রয়াত)।
জাতীয় দিবস গুলোতে এই স্মৃতিস্তম্ভ আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে। কিন্তু বছরের বাকি দিনগুলোতে থাকে না কোনো পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ। ইদানীং এর ঠিক উত্তর পাশে অর্থাৎ পাইলট হাইস্কুল মার্কেটের দেয়াল সংলগ্ন এবং ফুটবল মাঠের দক্ষিণ পাশের ফটকের পার্শ্বস্থানে দিন-রাত সবসময় অনেকেই প্রস্রাব করছেন। ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আশপাশের এলাকায়।
এছাড়া উক্ত স্থানে ময়লা ও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র। ময়লা ও প্রস্রাস করার বিষয়টাকে এক রকম নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে দিনের আলোয় কিংবা রাতের আধারেও।
বিকেলে ওই মাঠে শত শত বিভিন্ন বয়সী মানুষ খেলাধূলা করেন। শিশুদের নিয়ে ঘোরেন। তাদের খেলাধূলা কিংবা বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরাও বিনষ্ট হচ্ছে মাঠে কোনায় যত্রতত্র প্রস্রাব করার ফলে। তারাও বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত।
উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় স্তম্ভ ‘স্বাধীনতা’ এর সামনে ও পাশেই এমন কর্মকাণ্ডে সচেতন নাগরিক মর্মাহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘অনেক দিন লক্ষ্য করছি এখানে যেকোনো সময় যেকেউ এসে প্রস্রাব করে চলে যাচ্ছে। এটা একদিক থেকে নৈতিক অবক্ষয়ের কারণ হচ্ছে এবং অপরদিক থেকে স্মৃতিস্তম্ভের প্রতি সম্মানের হানি ঘটছে।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]