যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক দিয়ে বিচুলিভর্তি ইঞ্জিনভ্যান যাচ্ছে। কলারোয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার উপরেই গেলো উল্টে। কারণ সেখানে রাস্তার মাঝে বিশাল গর্ত হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে হাটু সমান পানি। পানি জমে থাকায় দেখে বোঝার উপায় নেই সেখানকার গর্ত। পরপরই মোটরসাইকেল আরোহী দুই ব্যক্তিও গেলেন পড়ে।
এমনইভাবে কলারোয়া পৌরসদর তথা উপজেলা সদরের রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীররা। ঘটছে প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দূর্ঘটনা।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, শুধু বাসস্ট্যান্ড নয়, হাইস্কুল মোড় থেকে থানার সামনে পর্যন্ত যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বর্তমানের এমন নাজুক, বিধ্বস্ত খারাপ অবস্থা কেউ দেখে নি। পায়ে হেঁটে চলতে গেলেও পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এ সড়কের গোপীনাথপুর মোড় থেকে কাজিরহাট এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে সড়ক নাকি অন্য কিছু বোঝা যায় না। কোল্ডস্টোরেজ মোড়ের লাকি ফিসের সামনে, বাসস্ট্যান্ড ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সামনে রাস্তা যেনো রাস্তা নেই।
একই অবস্থা কলারোয়া পৌরসভাসহ আভ্যন্তরীণ রুটের রাস্তা গুলোও।
বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের সামনে থেকে পুরো হাসপাতাল রোডটির অবস্থা ভয়াবহ। অনেকেই এই রাস্তাটির নাম দিয়েছেন 'ডেলিভারি রোড'। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, প্রসূতি নারী এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলে তার ডেলিভারি হয়ে যেতে পারে!!
শহীদ মিনার মোড় থেকে গরুহাট মোড়, পুরাতন খাদ্য গোডাউন রাস্তাসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তার করুণ দশা। নতুন বা সংস্কার করা রাস্তাগুলো ২/১ বছর যেতে না যেতেই চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তার চেয়ে তুলনামূলক উপজেলা সদরের রাস্তাগুলো খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।
রাস্তার অবস্থার অবনতিতে শুষ্কের সময় ধূলা আর বৃষ্টির সময় কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত দু'একটি দূর্ঘটনা ঘটতেই থাকে।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, বৃষ্টি হলেই যেন মনে হয় রাস্তা সমান। কিন্তু ওই সমান ভেবেই চলার পথে গর্তে পড়ে দূর্ঘটনা ঘটছে।
বাসস্ট্যান্ডের কয়েকজন দোকানদার ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, রাস্তা খারাপ দীর্ঘদিন। প্রায় এমন ছোটখাটো দূর্ঘটনার দৃশ্য দেখা যায়।
সংবাদ প্রকাশ হলে ইট-খোয়া ফেলে রাস্তা মেরামতের যতসামান্য কর্মযজ্ঞতা দেখা যায়। কিছুদিন পরে যে অবস্থা ছিলো তাতেই ফিরে যায়।'
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে, খুব দ্রুত যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কলারোয়ার খারাপ অংশ নতুন ভাবে তৈরি করা হবে। কিন্তু সেটার আলোর মুখ এখনো দেখা যায়নি। ঈদুল আজহার পরে সংস্কার কাজ শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।
উপজেলা সদরের রাস্তাগুলো অবিলম্বে মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]