সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় আগাম মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে লিচুর বাগান,বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন লিছু চাষিরা। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে না আসলে আশা পুর্ণ হবে লিচু চাষীদের।সাতক্ষীরার আম সব সময় আগেই পাকে তেমনি লিচুও আগেই পাকে এ জন্য বেশি দামে বিক্রি করা যায়। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, আমের পাশাপাশি উপজেলায় ০৭ ভাগ জমিতে গড়ে উঠেছে লিচুর বাগান। এই অঞ্চলে লিচুর ফলন বেশি হওয়ায় এখন ভুমি মালিকেরা চাষকৃত জমিতে লিচু বাগান করতে ঝুকে পড়েছে। এছাড়া বাড়ির ছাদে ও উঠান খোলায় লাগিয়েছে লিচুর গাছ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান লিচু গাছের সময় মত পরিচর্চা জন্য সব ধরনের পরামর্শ তারা লিচু চাষিদেরকে দিয়েছেন। উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম হোসেন লিচু চাষী জানান,আমার এ বছর ৭ বিঘা লিচু আছে,তবে কেউ যদি ১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে বছরে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ পায়,সেখানে কিন্তু ১বিঘা জমিতে লিচু বাগান তৈরী করলে প্রতিবছর ১ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে বিক্রয় হয়। এজন্য লিচু বাগান করা লাভ জনক হওয়ায় এই এলাকায় অনেকেই লিচু বাগান করার জন্য ঝুকে পড়েছে। একই কথা বলেন উপজেলা সিংঙ্গা গ্রামের লিচু চাষি ডাঃ মিজানুর ইসলাম।কলারোয়ার লিচু সারা দেশে প্রসিদ্ধ বলে পরিচিত , উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে চায়না থ্রি,বোম্বে ও মোজাফ্ফর, ডামন্ড জাতিয় লিচুর বাগান বেশি হয়েছে। লিচু চাষিরা জানায় এই জাতের লিচু ফলন বেশি হয় এবং বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি এজন্য তারা এই জাতিয় লিচুর বাগান বেশি করে গড়ে উঠেছে। তারা জানায় যদি কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার না হলে তারা লিচু বাগান থেকে মোটা অংকের অর্থ উপাজন করতে পারবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]