আদালতের এজলাসে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এ এমন ঘটনা ঘটে। এদিন সাভারের বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার করা মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন তিনি। দুই বছর আগে ওই ঘটনা ঘটেছিল।
ঘটনার কিছু বিবরণ দিতে গিয়ে কথা বলতে পারছিলেন না ঢাকাই সিনেমার আলোচিত এই নায়িকা। একপর্যায়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন পরীমনি। পরে আদালত তাকে ক্যামেরা ট্রায়ালে কথা বলার সুযোগ দেন।
পরীমনি যখন কাঁদছিলেন তখন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শহীদ হোসেন বিচারকের উদ্দেশে বলেন, পরীমনি হয়তো এই জনাকীর্ণ আদালতে সেদিনকার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে পারছেন না। আইনে এই ধরনের মামলায় ক্যামেরার ট্রায়ালের বিধান রয়েছে।
এ সময় বিচারক পরীমনির উদ্দেশে বলেন, আপনি যদি মনে করেন- ক্যামেরা ট্রায়ালে সব ঘটনা খুলে বলবেন, তাহলে অবশ্যই মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে হবে। আপনার আইনজীবী ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আর কেউ সেখানে থাকবেন না। আপনি কি ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্য দিতে চান?
জবাবে এই চিত্রনায়িকা বলেন, মাননীয় আদালত, সেদিনকার ঘটনা মনে পড়লে আমি আজও ট্রমাটাইজ হয়ে যাই...। পরীমনি এ কথা বলে আবার কাঁদতে থাকেন।
তখন তার আইনজীবী মুজিবর রহমান বলেন, মাননীয় আদালত, পরীমনি ক্যামেরা ট্রায়ালে সব ঘটনা খুলে বলবেন। এ সময় পরীমনিও বলেন, মাননীয় আদালত, আমি ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্য দেব।
আদালত তখন পরীমনিকে ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি দিয়ে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
এদিকে পরীমনি যখন আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী। মামলার অপর আসামি শাহ শহিদুল আলমের পক্ষে তার আইনজীবী আদালতে ছিলেন। শহিদুল আদালতে আসতে না পারায় তার পক্ষে সময় চাওয়া হয়।
পরীমনি বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১৪ জুন সাভার থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসির, তুহিন ও শহিদুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। গত বছরের ১৮ মে তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। তখন নাসিরসহ তিন আসামি নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর আদালতে প্রথম আংশিক সাক্ষ্য দেন পরীমনি। সেদিনের ধারাবাহিকতায় সোমবারও ঘটনার কিছু বিবরণ দেন তিনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]