৭০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গত চার বছর ধরে কারান্তরীণ বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব কারামুক্ত হওয়ায় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নিজস্ব বাসায় গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান উপজেলা যুবদল নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম এ হাকিম সবুজ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব কেএম আশরাফুজ্জামান পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব প্রভাষক সালাউদ্দিন পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক বিএম আফজাল হোসেন পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক আবু জাফর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মামলায় ৭০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ প্রায় ৪বছর কারাভোগের পর মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
উচ্চ আদালত থেকে জামিনের আদেশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জস্থ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। কারাগারে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাতক্ষীরাসহ তালা-কলারোয়া এলাকার সহস্রাধিক নেতা কর্মী তাকে স্বাগত জানানোর জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভীড় জমান।
পরে মিছিল স্লোগান সহকারে বিএনপি নেতা হাবিবকে নিয়ে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এ সময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল তাকে স্বাগত জানান। সবার সাথে সাক্ষাৎ-কুশলাদি বিনিময়ের পর শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তিনি ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে চলে যান।
এ সময় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল হাসান, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান হাদি, জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টাসহ সাতক্ষীরা জেলা, তালা ও কলারোয়ার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত সোমবার বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব এর পৃথক তিনটি জামিননামা সম্পাদন করেন সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ। গত ২৭ আগস্ট দুপুরে উচ্চ আদালতের ১১নং বেঞ্চ থেকে তিনিসহ কারাগারে থাকা বিএনপির ৪৬ নেতা-কর্মীদের সবাইকে জামিন দেওয়া হয়। জামিনপ্রাপ্ত বাকিরা বুধবার সাতক্ষীরা কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ বলেন, ২০০২ সালে কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে পৃথক তিনটি চার্জশীট দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে আদালত সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবকে সর্বোচ্চ ৭০ বছরের সাজা প্রদান করে আদালত।
তিনি আরো বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দী বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। ইতিমধ্যেই এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে চারজন বিএনপি নেতা কর্মী কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৬ জন বিএনপি নেতাকর্মী দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে উচ্চ আদালতের ১১ নং বেঞ্চ থেকে তিনিসহ সকল নেতা-কর্মীর জামিন প্রদান করা হয়। উচ্চ আদালতের জামিনের আদেশের কপি সাতক্ষীরায় আসার পর বিএনপি নেতা হাবিবের তিনিটি মামলার জামিননামা সম্পাদান করার পর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনি কারামুক্ত হলেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]