আবু বক্কর সিদ্দিক : কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মাহবুব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিশু হেঁটে আসে স্কুলে। এই রাস্তা দিয়েই স্থানীয় হাইস্কুল, মাদ্রাসা আর গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীরাও যাতায়াত করে। আবার ব্যবসায়ীরাও উপজেলার কৃষ্ণনগর ও শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেকী বাজারের মধ্যে আসা যাওয়া করেন।
কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ এই মেইন সড়কের স্কুলের সামনের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ বছরের পর বছর ধরে কাঁচা পড়ে আছে। চারপাশের রাস্তা কার্পেটিং হলেও স্কুলের মুখের এইটুকু অংশ যেন উপেক্ষিতই থেকে গেছে।
শুকনো মৌসুমে কোনো রকমে চলা যায় কিন্তু বর্ষা এলেই রাস্তায় জমে যায় হাঁটু কাদা। তখন বই খাতা হাতে কাঁদার মধ্যে দিয়েই যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। অনেক সময় ছোট ছোট পা পিছলে পড়ে, ভিজে জামা কাপড়ে ক্লাস করে তারা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগ চোখের সামনে দেখি। খুব কষ্ট লাগে, কিন্তু কিছুই করার নেই। আরেক শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, বর্ষায় শিশু শিক্ষার্থীরা প্রায়ই ভিজে কাদায় ভিজে ক্লাসে আসে। অসুখ বিসুখও হয়।
প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মা জানান, মেয়ে কাদার ভয়ে স্কুলেই যেতে চায় না। কখনো কোলে, কখনো কাঁধে করে স্কুলে নিয়ে যাই। একাধিক অভিভাবক বলেন, বৃষ্টির দিনে এই রাস্তায় সন্তানকে স্কুলে পাঠানো মানেই চিন্তা আর বিড়ম্বনা।
শুধু শিক্ষার্থী নয়, এই রাস্তা ব্যবহার করেন কৃষ্ণনগর ও নওয়াবেকী বাজারের ব্যবসায়ীরাও। কাঁচা রাস্তার জন্য এখন শ্যামনগর ঘুরে অন্তত ৭ কিলোমিটার বাড়তি পথ পাড়ি দিতে হয়, এতে সময়, খরচ আর ভোগান্তি সবই বেড়ে গেছে।
এক অভিভাবক আক্ষেপ করে বলেন, এতটুকু রাস্তা, তাও বছরের পর বছর কাঁচা পড়ে আছে। বৃষ্টি হলে বাচ্চারা ভিজে যায়, অসুখ হয়, খুব কষ্ট লাগে। এলাকাবাসীসহ শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি এই এক কিলোমিটার রাস্তা দ্রুত পাকা হোক। শুধু শিশু শিক্ষার্থী নয়, পুরো এলাকার মানুষ স্বস্তি পাক। কারণ এই কাদার ভেতর দিয়ে প্রতিদিন যে শিশুরা হাঁটে ওদের হাত ধরেই তো আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]