কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর মৌজায় খাস খতিয়ানের সরকারি জমি দখল, উচ্ছেদ ও নামজারির অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আবেদন করা হয়েছে।
কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও তার সহযোগী নূর হক সরদারের বিরুদ্ধে খাস খতিয়ানের জমি দখল, উচ্ছেদ ও নামজারী অপচেষ্টার অভিযোগ দিয়ে তা প্রতিকারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন করেছেন।
মিজানুর রহমানের দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণনগর মৌজার ১৪২১ খতিয়ানের ২০৭৯ দাগের ১১ শতক জমি সরকারি (১/১ খাস) খতিয়ানের আওতাধীন। কিন্তু সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে বিভ্রান্ত করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রথমে শ্যামলী রানীর নামে উক্ত খাস জমির নামজারি করা হয়। পরবর্তীতে তা বাতিল হলেও, একই জমি পুনরায় সীতা রানীর নামে নামজারি করা হয়।
আর এ সকল কাজের মূল পরিকল্পনাকারী কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও তার সহযোগী নূর হক সরদার। তারা কৌশলে বৃদ্ধা সীতা রানীকে প্রলোভন ও ভয়ভীতির মাধ্যমে জমিটি তাদের নামে কবলা দলিল করে নেন। চেয়ারম্যান তার প্রভাব খাটিয়ে সীতা রানীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ এবং তার সম্পদ সম্পর্তি দখলে নিয়েছে। এমনকি পরে ওই বৃদ্ধাকে আটক রেখে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
বর্তমানে অভিযুক্তরা উক্ত জমিটি নিজেদের নামে নামজারির জন্য নানাভাবে ভূমি অফিসে প্রভাব খাটাচ্ছেন। অথচ উক্ত ১১ শতক জমি মূলত খাস খতিয়ানের রাস্তার আওতাভুক্ত। যা কোনোভাবেই ব্যক্তিমালিকানায় নামজারি বা কবলা হওয়া আইনত অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন, অসহায় এক বৃদ্ধার আশ্রয় কেড়ে নেওয়া মানবিক ও আইনি উভয় দিক থেকেই অন্যায়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]