কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে অভিযানে দেড়'শ কেজি পুশকরা বাগদা চিংড়ি জব্দ ও আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে উপজেলা সিনিয়র মহস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা'র নেতৃত্বে উপজেলার বাথুয়াডাঙ্গা ও ফুলতলা মোড়ে পৃথক অভিযানে পুশ করা বাগদা চিংড়ি জব্দ করা হয়।
এসময় মৎস্য ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে ১৫'শ টাকা জরিমানা ও তার ৮০ কেজি পুশ করা বাগদা চিংড়ি জব্দ করে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
উপজেলার ফুলতলা মোড়ে অভিযান চালিয়ে বাঁশতলা বাজারের মাছ ব্যবসায় রেজাউল ইসলামের পুশ করা ৭০ কেজি বাগদা চিংড়ি প্যাকেটজাত করে ট্রাকে করে ঢাকায় নিতে গাড়িতে উঠানোর সময় উপজেলা সিনিয়ার মৎস্য অফিসার নাজমুল হুদা'র দূরদর্শী ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে পুশ করা বাগদা চিংড়ি গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তার উপর প্রকাশ্য পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট ও নষ্টকৃত চিংড়ি মাছ কাকশিয়ালি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় শত শত মানুষ চিংড়ি বিনষ্ট করার দৃশ্য দেখছিল।
জানা গেছে কালিগঞ্জ ফুলতলা মোড় থেকে কাজল ট্রান্সপোর্ট এর মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর দিয়াবাড়ি তপু মৎস্য এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে কালিগঞ্জ শহিদুল মাছের ব্যবসা করে থাকে। কালিগঞ্জ সহ অন্যান্য বাজার থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে এই সমস্ত মাছ ঢাকাতে বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
একশ্রেণীর মাছ ব্যবসায়ীরা অবৈধ পন্থায় অধিক মুনাফা লোভের আশায় সাদা সোনা নামে খ্যাত বাগদা চিংড়িতে জেলি, সাবু ,ভাতের মার, ভারী ময়লা পানিসহ অপদ্রব্য বাগদা চিংড়িতে পুশ করে ওজন বাড়িয়ে বিক্রয় করে আসছে। বিদেশে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চিংড়ি মাছের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্নবৃদ্ধ হচ্ছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার নাজমুল হুদা জানান এ ধরনের অভিযান প্রতিদিন অব্যাহত থাকবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]