সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিয়ের ৭ দিনের মাথায় হাতে মেহেদীর দাগ না শুকাতেই আঞ্জুমান আরা (১৮) নামে এক গৃহবধুর গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের আনারুল সরদারের মেয়ে ও কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।
মৃতের নানী সখিনা খাতুন (৫০) ও দাদি আমেনা খাতুন (৫২) জানায়, ছোটবেলা থেকে আঞ্জুমান আরা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের নানা আব্দুল খালেকের বাড়ি থেকে পড়া-লেখা করে আসছিল।
গত সোমবার পারিবারিকভাবে বসন্তপুর গ্রামের বাবর আলী মোড়লের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৮) এর সাথে তার বিয়ে হয়।
রবিবার (৪ জুলাই) আঞ্জুমান আরা'র স্বামী কাজ করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সকাল ১০টার দিকে ঘরের আড়র সাথে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়ে পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আপাতত এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।’
এদিকে মৃত গৃহবধূর পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের দাবি আঞ্জুমান আরা দীর্ঘদিন যাবত মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]