সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় যাত্রার নামে চলছে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর। গতো ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে কালিগঞ্জে পিরোজপুর ইট ভাটার পিছুনে ধান ক্ষেতে চলছে প্রকাশ্যে চলছে নগ্ন নৃত্য ও রমরমা জুয়ার আসর। মেলায় ৩টা জুয়ার আসর থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হেরে অনেকে মোটর সাইকেল বন্ধক রেখে খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। এই জুয়ার আসর ও যাত্রা পালার নামে নগ্ন নৃত্যের পরিচালনা করছে কালিগঞ্জের নাছির ও শহিদুল।
এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি প্রভাবশালী কিছু নেতা ও প্রশাসনের সহযোগিতায় একের পর এক যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর চলছে। প্রতিদিন মোটা অংকের লেন-দেনের চুক্তিতে প্রকাশ্যে নগ্ননৃত্য ও জুয়ার আসর চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একইভাবে একটি প্রভাবশালী মহলও জাড়িত আছে এই সাথে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের ছাত্র, উঠতি বয়সের যুবক, বয়ঃবৃদ্ধরা ভিড় করছেন এই নগ্ন নৃত্য দেখার জন্য। জুয়ার আসরে দাঁড়িয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
যাত্রার নামে একটি প্যান্ডেল করা হয়েছে। সেখানে চলছে খোলামেলা নগ্ন নৃত্য ও সেই সাথে বিভিন্ন জেলা থেকে উঠতি বয়সি মেয়েদের নিয়ে এসে নাচের নামে পদ্দার আড়ালে চলছে অবেধ্য কার্যক্রম। পিরোজপুর ভাটার মাঠের জায়গাটি রাতের অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতো। কিছুদিন ধরে সেই অন্ধকার জাইগাটিই ঝলমলে আলোতে আলোকিত হয়ে উঠেছে। আর এই আলোর মধ্যেই জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে অনেকের স্বপ্ন। আলোর ঝলকানিতে জুয়ার আসরে সব হারাছে সাধারণ মানুষ। হাহাকার করছে পরিবারের সদস্যরা। তাদের এই হাহাকার দেখে মুচকি হাসি হেসে পকেট ভরছে অসাধু ও প্রভাবশালী একটি মহলসহ অনেকেই।
গ্রামের সহজ-সরল খেটে খাওয়া মনুষগুলো লোভের বর্শ্ববর্তী হয়ে এখানে আসছে ,জুয়া খেলে সর্বশান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যাছে। এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিছে কর্তৃপক্ষ। মাঠের এক পাশে সারি সারি জুয়ার বোর্ড, সাধারণ মানুষ ভিড় করছে এই কোটগুলোকে ঘিরে। এক একটি বোর্ড পড়ছে হাজার হাজার টাকা। পাশেই চলছে নগ্ন নৃত্য। এখানে ভিড় করে আছে শিশু, কিশোর, যুবক এমনকি বৃদ্ধরাও। ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নাচছে কিশোরী মেয়েরা। ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা টিকিটের বিনিময়ে ভিতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। স্টেজে চলছে কয়েকজন তরুনীর অশ্লীল পোশাকে নগ্ন নৃত্য। এভাবে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে সারা রাত্র ব্যাপী চলছে এ অশ্লীল নৃত্য। আর স্টেজের পাশেই সাজানো হয়েছে রমরমা জুয়া।
নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করে পাতানো জুয়ার ফাঁদে পকেট কেটে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। একটি সূত্র জানায় সব দিক ম্যানেজ করেই চলছে এসকল অবৈধ কারবার।
যাত্রা ও জুয়া বোর্ডে পরিচালক নাছির জানান , আমি প্রশাসন ম্যানেজ করে জুয়ার বোর্ড চালাচ্ছি আর যাত্রার অনুমোদন আছে।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান জানান, গতো রবিবার রাতে পিরোজপুরে যাত্রার প্যান্ডেলের পাশে জুয়া চলছে এমন সংবাদ পেয়ে থানা থেকে টিম পাঠিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে এবং আজকেও টিম যাবে। কালিগজ্ঞ থানার ভিতরে কোথাও অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার বোর্ড চলতে দেওয়া হবে না।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]