কালিগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণীর ১ ছাত্রকে খাবারের প্রলোভন দেখাইয়ে ফুটবল খেলা দেখাতে নিয়ে বাগানে ফেলে বলাৎকারক বহু অপকর্মের হোতা একাধিক সহিংস মামলার আসামি লম্পট রুহুল আমিন মোড়ল অবশেষে পুলিশের জালে আটক হয়েছে।
কালিগঞ্জ থানার পুলিশ বুধবার (২ নভেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুকুন্দ মধুসূদনপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করে।
আটকৃত রুহুল আমিন মোড়ল (৫৬) মুকুন্দ মধুসূদনপুর গ্রামের মৃত কেতাব আলী মোড়লের ছেলে। গত বুধবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা ফাতেমা খাতুনের থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী বলাৎ এর শিকার শিক্ষার্থীকে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ১২২ ধারায় জবানবন্দি এবং সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত (৩১ অক্টোবর) রবিবার বিকালে পারুল গাছা মাঠে ৪দলীয় নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ছিল। ঐদিন স্কুল থেকে বিকালে বাড়ি ফেরার পথে রুহুল আমিন মুকুন্দ মধুসূদনপুর চৌমুহনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রকে ফুটবল খেলা দেখাতে নিয়ে যাবে বলে অনেকগুলো খাবার কিনে দেয়। এবং বলে তাড়াতাড়ি বাড়ি যেয়ে স্কুল ব্যাগ রেখে স্কুল ড্রেসে চেঞ্জ করে চলে আসতে। ওই শিক্ষার্থী বাড়ি থেকে আসলে একটি বাইসাইকেল উঠিয়ে পারুলগাছা ফুটবল মাঠে নিয়ে লোকের ভিড় দেখে একটি গাছে উঠিয়ে দেয়।
খেলা শেষ হওয়ার পরে সন্ধ্যার সময় মাঠের পূর্ব পাশে আম বাগানে নিয়ে মুখ চেপে ধরে প্যান্ট খুলে খারাপ কাজ করে। ওই সময় ওই শিক্ষার্থী যন্ত্রণায় ছটফট করলে সে মুখ চেপে ধরে কাউকে কিছু না বলার জন্য হত্যার ভয় দেখিয়ে তার বাইসাইকেলে নিয়ে রাতে বাড়ির পাশে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
বাড়ি যেতে রাত হওয়ায় তার মা (ফাতেমা খাতুন) কোথায় গিয়েছিল জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে ওই শিক্ষার্থী ভয়ে এবং যন্ত্রণায় কিছু বলিনি। পরবর্তীতে তার এক সহপাঠীর নিকট হতে বিষয়টি জানতে পারে ওই সময় ধমক দিলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সমস্ত ঘটনা মাকে খুলে বলে। ঘটনা শোনার পর ওই রাতেই তার মা চেয়ারম্যানের বাড়িতে যায়। চেয়ারম্যান বাড়িতে না থাকায় ফেরত চলে আসে। সকালে পুনরায় চেয়ারম্যানের নিকট গেলে তিনি বিষয়টি তার ভাই একাধিক সহিংস মামলার আসামি নূর মোহাম্মদ কে সন্ধ্যার মধ্যে মীমাংসা করে দিতে বলেন। তারা ওই সময় আমরা নূর মোহাম্মদের নিকট বিচার পাবে না বলে বাড়িতে চলে আস ।
এরপর হতে রুহুল আমিনের বাহিনী দিয়ে তাদের বাড়ি পাহারায় রাখা হয় যাতে করে থানা পুলিশের না জানাতে পারে এরপর গত বুধবার রাতে এর আগেও সেই একাধিক শিশু শিক্ষার্থী কে বলাৎকার করলে পিটুনি ও জরিমানা দিয়ে রেহাই পায়। গত ২০২১ সালে একুশে আগস্ট চৌমুহনী বাজারে কালিকাপুর গ্রামের ১২ বছরের এক শিশুকে বলাৎকার করে জরিমানা দিয়ে রেহাই পায়।
এ ছাড়াও তার পুত্র জামায়াতের ক্যাডার আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা ও মানবাধিকার কর্মী মোসলেম হত্যা সহ একাধিক সহিংস মামলার আসামি থাকা অবস্থায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেল আমিনুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মামলা নিয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে বলাৎকারক কেগ্রেপ্তার করা হয়েছে। কৃত আসামিকে বৃহস্পতিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]