মেয়েটির নাম সাবিনা ইয়াসমিন। ঢাকাস্থ তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে কর্মরত। বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের গণপতি গ্রামে।
প্রতিবারের ন্যায় এবারো পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। ঈদের ৩য় দিন ১৬ মে সকাল ১০ টার দিকে বন্ধুবান্ধব নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র বসন্তপুর সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে যান। এসময় স্থানীয় মাছিদুল ওরফে মাছি নামধারী যুবক তাদের আটক করে এবং বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ সহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।কৌশলে সাবিনা ও তার বন্ধুরা সেখান থেকে চলে আসে। পরবর্তীতে ১৯ মে সাবিনা ইয়াসমিন তার নিজ ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে উক্ত ঘটনা ও নির্যাতনকারীর ছবি দিয়ে একটি প্রতিবাদী পোস্ট করে। এরপর থেকেই সমলোচনার ঝড় ওঠে।
বিষয়টি ভাইরাল হয়।
সাবিনা ইয়াসমিন আইনি ঝামেলায় জড়াতে চাননি। এজন্য তিনি প্রশাসনে কোনো ধরনের অভিযোগ দিতে রাজি হননি।
পরবর্তীতে স্থানীয় মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সোহেল ও ইউপি সদস্য সালাম গাইনের মধ্যস্ততায় সাবিনা ইয়াসমিন ও তার পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন অপরাধী ওই যুবক। ভবিষ্যতে এমন কোনো ঘটনা ঘটাবে না বলেও অঙ্গীকার করে সে। এসময় স্থানীয় যুবসমাজসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবিনা ইয়াসমিন এ প্রতিবেদককে জানান, ‘আমি ঢাকাতে পড়াশোনা করি। আজ রাতেই ঢাকা চলে যাচ্ছি। আইনি কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না। ফেসবুকে বিষয়টি শেয়ার করেছিলাম তারপর স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান বিষয়টি মিটমাট করে দেয়। গুরুজনদের কথা মান্য করে পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছি।’
এদিকে সাবিনা ইয়াসমিনের এ প্রতিবাদী কন্ঠকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সকল মানুষ। তবে আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন তার কিছু বন্ধু।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]