কালীগঞ্জে এক রাতে ২ বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা মুখোশ পরিহিত ৬/৭ জনের সশস্ত্র ১টি ডাকাত দল বাড়ির গেট টপকে জানালার গ্রিল ভেঙে ১ রাতে ২ জন গৃহকর্তার বাড়িতে গভীর রাতে প্রবেশ করে বাড়ির নারী, পুরুষ ও শিশুদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১টি ঘরে আটকে রেখে চেতনা নাশক স্প্রে করে ঘন্টা ব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে ২টি বাড়ি হতে নগদ ৩ লক্ষ টাকা, ৩৫ ভরি স্বর্ণ, ১টি মোটরসাইকেল, দামি মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও কাপড়-চোপড় সহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে সশস্ত্র ডাকাত দল।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুকুন্দ মধুসূদনপুর গ্রামে গত শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ২টা হতে ঘন্টা ব্যাপী গৃহকর্তা জামাত আলী গাজী এবং আব্দুল মজিদ সানার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গত ৬ মাসের মধ্যে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ১০/১৫ টি বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি, ডাকাতি সংঘটিত হলেও এখনো পর্যন্ত ডাকাতরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিয়েও কাজ না হওয়ায় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মুকুন্দ মধুসূদনপুর গ্রামের মৃত ওসমান আলী গাজীর পুত্র ভুক্তভোগী গৃহকর্তা জামাত আলী গাজী (৬৩)তার পুত্র ফিরোজ আলম এবং অপর ভুক্তভোগী গৃহকর্তা আব্দুল মজিদ সানা এবং তার পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, শনিবার রাত আনুমানিক ২টার সময় সবাই যখন ঘুমিয়ে তখন ৬/৭ জনের মুখোশ পরিহিত সশস্ত্র ডাকাত দল প্রথমে প্রাচীর টপকে জামাত আলীর বাড়িতে ঢুকে বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ভিতরেপ্রবেশ করে বাড়ির নারী-পুরুষ এবং শিশুদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে বেধড়ক পিটিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১টি ঘরে এনে বেঁধে ফেলে। পরে চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে আটকে রাখে। এরপর ঘরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে ঘরে রক্ষিত নগদ ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা, ১টি পালসার মোটরসাইকেল ২ জোড়া রুলি, ৪টি স্বর্ণের চেন ৩ জোড়া কানের দুল, ৪টি আংটি দামি মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী সহ কাপড় লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আব্দুল মজিদ এর বাড়িতে অনুরূপভাবে বারান্দার গ্রিল এবং গেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করে গৃহকর্তা আব্দুল মজিদ সহ বাড়ির সবাইকে ঘুম থেকে তুলে পিটিয়ে একটি রুমে অস্ত্র ঠেকিয়ে চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে সবাইকে আটকে রাখে। পরে ঘর হতে নগদ ১ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা ৬ ভরি স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী কাপড়-চোপড় সহ প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ওই সময় আশেপাশের লোক টের পেয়ে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে জানালে, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় থানার অফিসার ইনচার্জ হালিমুর রহমান বাবু ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]