করোনার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর লড়াই যে এখনো শেষ হয়নি, সেটাই নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট বি.১.১.৫২৯ সার্স–কভ–২ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আরও বেশি ভয়ংকর ও শক্তিশালী বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
ওমিক্রনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ডাব্লিউএইচও।
নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সীমান্ত বন্ধসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি সর্বপ্রথম ডেলটার চেয়ে ভিন্ন একটি করোনার ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেন।
তিনি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গের ব্যাপারে কথা বলেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ড. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি রয়টার্সকে জানান, গত ১৮ নভেম্বর তিনি তার ক্লিনিকে সাতজন রোগী পান যাদের উপসর্গ ডেলটার চেয়ে আলাদা ছিল। তবে এই উপসর্গ ছিল ‘খুব মৃদু’।
অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি জানান, গত ১৮ নভেম্বর তার ক্লিনিকের এক রোগী দুই দিন ধরে ‘অতিরিক্ত দুর্বল’ বোধ করছিলেন। এছাড়া তার শরীরে ব্যথা ছিল। সঙ্গে ছিল মাথা ব্যথা।
তিনি বলেন, এই পর্যায়ে ওমিক্রনের উপসর্গ একদম সাধারণ সংক্রমণের মতো। তবে গত ৮ থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যে করোনার কোনো রোগী না পাওয়ায় তারা করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। রোগী এবং তার পরিবারের সদস্যদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজির মতে, ওমিক্রমের মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়। বাড়িতেই এর চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত ওমিক্রন গত ১৪ থেকে ১৬৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার পরীক্ষাগারের নমুনায় প্রথম পাওয়া যায়। ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিকেবল ডিজিজেস (এনআইসিডি) আনুষ্ঠানিকভাবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের ঘোষণা দেয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]