ঢাকায় সমাবেশ ও রোডমার্চ করে জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগে নিজেদের দাবি তুলে ধরল ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন সংগঠন। তারা বলছে, সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ কী চায়, কী দেবে, সেই সমঝোতা দরকার।
সংখ্যালঘুদের ৩২টি সংগঠনের জোট ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ঐক্য মোর্চা গতকাল শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালী মন্দির-সংলগ্ন অংশে সমাবেশ করে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন।
ঐক্য মোর্চার নেতৃত্বে দিচ্ছে বাংলাদেশ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
মোর্চার দাবি হলো, আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের নিয়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার বাস্তবায়ন।
সমাবেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, আপনারা আমাদের কী দেবেন, আমাদের থেকে কী নেবেন, এই সমঝোতা আজকে প্রয়োজন গণতন্ত্রের স্বার্থে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর বাকি। অথচ সরকারি দলের নির্বাচনী ইশতেহারের সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে আজও কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি, যা খুবই হতাশাব্যঞ্জক’।
সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ঐক্য মোর্চায় বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘসহ (ইসকন) ৩২টি সংগঠন রয়েছে। ঐক্য মোর্চা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৬ ও ৭ জানুয়ারি সারা দেশ থেকে ঢাকা অভিমুখী রোডমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। সে অনুযায়ী তারা গত শুক্রবার সারা দেশ থেকে ঢাকার উদ্দেশে রোডমার্চ শুরু করে। গতকাল ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে ঐক্য মোর্চা।
ঐক্য মোর্চা যে দাবিগুলো তুলে ধরেছে, তা হলো জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন তৈরি, পার্বত্য শান্তিচুক্তি, পার্বত্য ভূমি কমিশন ও অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি আইন প্রণয়ন এবং সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা। মোর্চার পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৫ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশ থেকে এই দাবিগুলো তোলা হয়েছিল। পরে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দাবিগুলো পূরণের প্রতিশ্রুতি দেয়।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে এই কনকনে শীতে আনন্দ করতে হাজারো মানুষ ঢাকায় উপস্থিত হননি।
তারা তাদের যন্ত্রণার কথা বলার জন্য এসেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]