সোহেল পারভেজ, কেশবপুর : যশোরের কেশবপুরে জমির মালিকদের নিজ খরচে পানি সেচ। সরকারি সহযোগিতার আহ্বান এলাকাবাসীর।উপজেলার মজিদপুর-বিদ্যানদকাটি ইউনিয়নের বহত্তর বাগদাহ-তেঘরি বিলর প্রায় পাঁচ হাজার বিঘার অধিক জমিতে এবার ইরী বোরো ধান রাপন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে বুড়িভদ্রা নদীর শাখা তরুয়ার খালের তলা পলি মাটিতে ভরাট ও কুচুরিপনায় ভর্তি হওয়ায় এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৫ ফেব্রয়ারী ‘কেশবপুর বিকল্প উনয়ন কমিটি’র পক্ষ থেকে উপজেলার সাগরদাঁড়ী রাস্তা ঘেঁষে পাকা ড্রেন নির্মান করে পানি সরানোর দাবীতে যশোর জলা প্রশাসক সহ অন্তরবর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টার দপ্তরে আবেদন করে।
আবেদনসুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ইরী বোরো ধান উপজেলার আটংন্ডা, তেঘরী (আংশিক), প্রতাপপুর, কাকিলাখালী (আংশিক), লক্ষীনাথকাটি, বাগদাহ ও শিকারপুর (আংশিক) বিলসমূহ পানিতে তলিয় থাকার কারণে জমির মালিকসহ বর্গাচাষীরা চাষাবাদ করতে পারছে না। জলাবদ্ধ পানি সরানোর বিকল্প কান খাল ও নদী না থাকায় অতীতের জলাবদ্ধতার রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে।
সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, কেশবপুর-ভান্ডারখোলা সড়ক তেঘরী গ্রামের তরুয়ার খালের উপর নির্মিত কালভার্টটির বর্হিঃপার্শ্ব এলাকাবাসী সেচ দিয় পানি সরানোর জন্য বাঁধ নির্মাণ করে। বৈদ্যুতিক মটর ও ডিজেল চালিত ইঞ্জিন দিয় সেচের মাধ্যমে ৬ বিলের ইরী বোরো চাষযোগ্য করে। আটংন্ডা গ্রামের সমাজসেবক ও মাস্টার রবিউল আলম ও রাজু আহমেদ বলেন, এলাকাবাসীকে নিয়ে ৬ বিলের পানি সরানোর জন্য ৫ টি বৈদ্যুতিক সেচ মাটর ও ২২ টি ডিজেল চালিত ইঞ্জিন বসানো হয়। প্রতিদিন ব্যয় ২৫০ লিটার ডিজেল। মাবিল খরচতো রয়েছে। দুই জন লোক রাতদিন পাহারা দিতে রাখা হয়েছে। তাদের দিন প্রতি ৫০০টাকা দিতে হয়। বর্তমান খরচের টাকা আমাদের মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির পলাশ দিচ্ছেন পরে আদায় করে দেব বলেছি। আর আমরা স্বেছাশ্রমে কাজ করছি।
চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির পলাশ বলন, সাত গ্রাম নিয় এই বিলগুলিত প্রায় প্রায় পাঁচ হাজার বিঘা জমি পানির নিচে ছিল। এবারের মতো জলাবদ্ধ অতীতে দখা যায়নি। পানি সরানোর একমাত্র তরুয়ার খালের গোড়ায় শেলা হওয়া ও পলি জমে থাকার কারণে পানি সরানো সম্ভব হয়নি।
কেশবপুর বিকল্প উনয়ন কমিটি’র সদস্য সচিব রুহুল আমীন খান বলেন, আগামী ৫০ বছরের কথা চিন্তা করে সরকারী উদ্যোগে ‘বিলের উপরিভাগ ২ ফুট গভীর দিয়ে ৫ ফুট উচ্চতা এবং ৪ ফুট চওড়া ড্রেন নির্মান করে বিলের পানি বিকল্প ভাবে সরানোর দূরদর্শী প্রকল্প গ্রহন করা প্রয়াজন বলে আমি মনে করি। প্রকল্পটি চলতি মৌসুমে বাস্তবায়িত হলে চাষাবাদের জমিসহ বসতবাড়ি জলাবদ্ধ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে জনগণ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]