যশোরের কেশবপুর উপজেলার কোমরপুর গ্রামে কবরস্থানের জায়গায় ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা করায় ৫ সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের আকবর আলী, আব্দুল হামিদ ও আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে যশোর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ৪৬ নম্বর কোমরপুর মৌজার ২৭৯ খতিয়ানের ৬০৫ ও ৬১৫ দাগে ১ একর ৩০ শতক জমি ক্রয় সূত্রে ওই গ্রামের মৃত মইজ উদ্দীন গাজীর ছেলে আকবার আলী গাজী, আব্দুল হামিদ ও আব্দুর রশিদ দীর্ঘবছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন। এর মধ্যে ২৬ শতক জমি পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে নির্ধারিত রয়েছে। এলাকাটি বন্যা কবলিত হওয়ায় উক্ত কবরস্থানটি সার্বজনীন হিসেবে এস এ রেকর্ডের পূর্ব হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত এলাকার স্থানীয় লোকজন তাদের পূর্ব পুরুষদের উক্ত কবরস্থানে দাফন করে আসায় আর এস রেকর্ড ১ নম্বর খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে যশোর জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড লিপিবদ্ধ হয়। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ সরকার নালিশী জমিতে স্বত্ত্ব দখলকার নয়। উক্ত জমিতে সি এস, এসএ ও আরএস রেকর্ডীয় প্রজাগণের পূর্ববর্তীগণসহ এলাকায় মারা যাওয়া অনেকেরই দাফন কাজ সম্পন্ন হওয়ায় কবরস্থানটি বর্তমানে পাবলিক ইজমেন্টে পরিণত হয়েছে।
গত ১০ জানুয়ারি ওই কবরস্থানের জায়গায় আশ্রায়ন প্রকল্পের অধিনে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিবাদীগণ সরেজমিনে গেলে বাদীপক্ষসহ এলাকাবাসী উক্ত কবরস্থানের জায়গায় ভূমিহীনদের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে আপত্তি করে। এ সময় বিবাদী পক্ষ নালিশী জমিতে আশ্রায়ন প্রকল্পের অধিনে গৃহ নির্মাণ করার হুমকি প্রদর্শন করায় ৫ জন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যশোর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা করা হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি জমির মালিক কোমরপোর গ্রামের মৃত মইজ উদ্দীন গাজীর ছেলে আকবর আলী, আব্দুল হামিদ ও আব্দুর রশিদ বাদি হয়ে যশোর জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।
এ ব্যাপারে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, কবরস্থান তাদের পূর্বসূরিদের। সুতরাং তাদের অংশ থেকে কবরস্থানের জায়গা বাদ দেওয়া হবে। কোন ব্যক্তি মালিকানা বা কবরস্থানের জমিতে নয়, আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের পুর্নবাসনের জন্য খাস জমি নির্ধারণ করে সেখানে গৃহ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]