যশোরের কেশবপুরে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ করোনা টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে মেসেজের অপেক্ষায় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আছেন। শনিবার পর্যন্ত ৮৯ হাজার মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮৮৩ জন।
সরবরাহ কম থাকায় প্রতিদিন রেজিস্ট্রেশন করা নির্দিষ্টসংখ্যক গ্রহীতাকে টিকা দেওয়ায় এ কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি এ উপজেলায় প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। করোনাভাইরাসের টিকা নিতে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৮৮ হাজার ৯২৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ও সিনোফার্মের প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ২৮ হাজার ৮৮৩ জন। তাদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ১৯ হাজার ৯২১ জনকে। অর্থাৎ ১৯ হাজার ৯২১ জনকে টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার ২৮৩ জন নিবন্ধনকারীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা নিতে না পেরে ফিরে গেছেন বাড়িতে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোববার টিকা নিতে আসা চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজহারুল বিশ্বাস, আসাফুর রহমান বিশ্বাস, মইনুল হাসান শেখ বলেন, দেড় মাস আগে নিবন্ধন করে একাধিকবার হাসপাতালে এলেও মেসেজ না আসায় টিকা নেওয়া হয়নি। কবে আসবে মেসেজ দিতে পারবো টিকা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, টিকা কিছুদিন ছিল না। গত বুধবার কিছু টিকা এসেছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চার হাজার ৫২০ ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। রেজিস্ট্রেশন করেছেন এমন ব্যাক্তিদের ক্রমান্বয়ে টিকা দেওয়ায় হবে।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, কেশবপুরে রেজিস্ট্রেশনের ভাগ বেশি। এ উপজেলা মানুষ খুব সচেতন। বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে। যেসব বয়স্ক, শিক্ষক, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্যকর্মী ও শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করে এখনও টিকা দিতে পারেননি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করলে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]