গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমণ মৌসুমের ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা মাঠের আবাদী জমিতে আমণ ধানের চারা রোপন শুরু করেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গুড়গুড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কৃষকরা আমণ ধান রোপনের কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
এ উপজেলায় প্রতিবছর আমণ ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা মাঠের আবাদী জমিতে আমণ ধান উৎপাদনের জন্য গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে চারা রোপন শুরু করেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হলেও এ উপজেলায় এখনও তেমন পরিস্থিতি না হওয়ায় কৃষকরা কোমর বেঁধে পুরাদমে মাঠে নেমে পড়েছে আমণ ধান রোপনের কাজে।
এই মৌসুমে অনেক কৃষকরা তাদের লক্ষ্য মাত্রা অনুযায়ী জমি রোপন করেও চারা বিক্রয় করতে পারবে বলে জানান এলাকার কৃষকরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সময় মত কৃষকরা তাদের মাঠের আমণ ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে বলে জানান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার চলতি আমণ ধান মৌসুমে এ উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। জমিতে আমণ ধান চাষ করার জন্য ৪ হাজার হেক্টর বীজতলা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া ভালো ও জমিতে পানি সেচ দিতে হয়নি যার কারণে অতিরিক্ত টাকা খরচ হবে না কৃষকদের। এ বছর বীজতলায় চারা নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। কৃষকরা আমণ ধান হিসেবে ব্রি ধান ৪৯, বিনা ধান ৭, ব্রি ধান ৩৪ ও অল্প সংক্ষক জামিতে কাটারিভোগ জাতের ধান রোপন করেছে কৃষকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বীজতলা তৈরী করায় চারা ভাল হয়েছে। ফলে সুন্দর ভাবে কৃষকরা তাদের জমিতে আমণ ধান রোপন করতে পারছে। এ ছাড়াও যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষি অফিস সব সময় কৃষকদের পাশে রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সময় মত কৃষকরা তাদের মাঠের আমণ ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে বলে আশা করছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]