যশোরের কেশবপুরে সেলিনা বেগম (২৫) নামে এক প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। যার নম্বর-১৯।
ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে কেশবপুর পৌর এলাকার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত গহর মোল্যার ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ আলির সাথে উপজেলার পাঁচবাকাবর্শি গ্রামের মৃত লেওকত আলির মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী সেলিনা বেগমের সাথে বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের দুইটি ছেলে সন্তান হয়। বড় ছেলে মিলন বাক প্রতিবন্ধী (১৩) ছোট ছেলে পাপ্পু (৮)। এলাকাবাসী জানায়, অভাবের সংসার থাকায় তাদের সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করতেন তার ছোট মামা। তাদের সংসারে ছোটখাটো কথা নিয়েও কলহো বিবাদ থাকতো।
মামা আব্দুল আজিজ গাজী বলেন, প্রায় সময় আমার ভাগ্নি সেলিনাকে মারপিট করতো। খবর পেয়ে আমি ওদের বড়িতে যেয়ে টাকা পয়সা দিয়ে আসতাম তবে এবার যে ভাবে মরধর করিছে সেটি পশুর মত। চিকিৎসা করেও তাকে বাঁচানো গেলনা। তাই আমি নিজে বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় মামলা করেছি।
পৌর এলাকার রামচন্দ্রপুর এলাকার আব্দুল ওয়াদুদ আলি মোল্যা পারিবারিক কলহের জেরে গত ১৯ জুলাই তার স্ত্রী প্রতিবন্ধী সেলিনা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদরে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসা হবেনা বলে জানায়। ওই সময় তাকে ২৪ জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৭ জুলাই সোমবার চিকিৎসারত অবস্থায় সেলিনা বেগম মারা যান। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় তাকে রামচন্দ্রপুর পিতার বাড়ি কবরস্থানে দাফন করা হয়। সেলিনা বেগমের আপন ছোট মামা আব্দুল আজিজ গাজী বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় মামলা করেছে। মামলা নম্বর-১৯ তাং-২৭/০৭/২০২০ইং।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসীম উদ্দীন দৈনিক সকালের সময়কে জানান, নিহতের স্বামী আব্দুল ওয়াদুদ মোল্যকে আসামি করে কেশবপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। তাকে আটক করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]