যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পল্লী বিদ্যুতের শিল্প ও সেচ মিটার চুরি হয়ে যাচ্ছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল শুধু মিটার চুরি করে থেমে থাকছে না চুরির সাথে সাথে বিদ্যুতের পিলারে ঝুলিয়ে রাখছেন চোরের কন্টাক্ট ফোন নাম্বর। নাম্বারে যোগাযোগ করলেই বলতে হচ্ছে কোন লোকেশন থেকে মিটার চুরি হয়েছে তার জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার পর দাবি করা হচ্ছে ৫ হাজার টাকা।
তথ্য সূত্রে জানা যায় রোববার (২৭ এপ্রিল ২০২৫) রাতে ত্রিমোহিনী, সাতবাড়িয়া, জাহানপুর বাজার, ভালুকঘর, নিমতলা, কাস্তা গ্রাম থেকে ৮টি এবং এর পূর্বে মজিদপুর গ্রাম থেকে একই ভাবে কয়েকটি মিটার চুরি হয়েছে।
সাতবাড়িয়ার একজন ভুক্তভোগী বলেন, চোরের নাম্বারে যোগাযোগ করে মোবাইলে টাকা পাঠালে সময় মত রেখে যাচ্ছেন মিটার। একই ঘটনা ঘটেছে কাস্তা গ্রামেও। তবে চোরের রেখে যাওয়া নাম্বারে টাকা পাঠানো হলে ১ বছরের মধ্যে আর মিটার চুরি হবেনা গ্যারান্টি সহকারে ফেরত দিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে কেশবপুরে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হওয়ার ঘটনায় উপজেলা জুড়ে মিটার মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চোরেরা তাদের ফোন নাম্বার রেখে গেলেও এই বিষয়ে প্রশাসন কোন ভূমিকা রাখতে পারছেনা বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ। তাদের মনে একটিই প্রশ্ন যেখানে চোর তার যোগাযোগ নাম্বার দিয়ে একটা বড় ক্লু রেখে গেলেও প্রশাসনের ভুমিকা কি।
এবিষয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, চোরের রেখে যাওয়া ফোন নাম্বারের লোকেশন বাইরের জেলাতে হওয়ায় সেখানকার প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অতি দ্রুত এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]