যশোরের কেশবপুর উপজেলার লক্ষীনাথকাটি গ্রামে সহোদর ভাই আয়ুব আলী মোড়ল গং কর্তৃক অপর সহোদর ভাই আবু দাউদ মোড়লের পরিবারকে পৈতৃক শরীকানা জমির উপর দিয়ে বের হতে পথ না দেয়ায় জেলা প্রশাসক যশোর, পুলিশ সুপার যশোর ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
২৩ আগষ্ট ও ২৪ আগষ্ট ২০২০ করা অভিযোগকারীর অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কোমর উদ্দীন মোড়লের সাত পুত্র একই খতিয়ানের জমির উপর পৃথক পৃথকভাবে বাসবাস করে। ১০২ শতক জমি কোমর উদ্দীন মোড়লের মৃত্যুর পর সাত পুত্র, দুই বোন ও এক স্ত্রী অংশ মোতাবেক প্রাপ্ত হওয়ার পর বাদী আবু দাউদ ৮ শতক বাস্তু জমির উপর মেঠে বসতঘর বেঁধে দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছে। তার জমির সর্ব দক্ষিণে শাহাজান গং তাদের সীমানায় পাচিল দিয়েছে। পূর্ব পাশের্ব পীচের রাস্তা ঘেঁষা দাউদের সহোদর দুই ভাই মাষ্টার আবু মুছার পৈতৃক ও কেসমত আলীর পৈতর্ৃক ও খরিদাংশে ভোগদখল করছে। কেসমতের পশ্চিমে ও আবু দাউদের উত্তরে অপর সহোদর আয়ুব আলী মোড়ল পীচের রাস্তা ঘেঁষে প্রাপ্ত জমিতে বসত ঘর ও রাস্তা ঘেঁষে দোকান করে ব্যবসা করছে। আবু দাউদের চতুর্রদিক থেকে সহোদর ভাইগণ তাদের মধ্যে আবু দাউদের বসতবাটি হওয়ায় আবু দাউদকে তাদের অপর ভাইগণ বাড়ি হতে বের হতে কোন যাতায়াতের পথ দিচ্ছে না। তাদের পিতার জীবনদশায় শাহাজান গংদের পাচিল ঘেঁষা মাষ্টার আবু মুছার জমির উপর দিয়ে একসময় যাতায়াত করার পথ ছিল। সেপথ দিয়ে দাউদ গংদের যাতায়াত করতে দিবে না মর্মে পূর্বপাশের্ব রাস্তা ঘেঁষা আবু মুছার পাচিল শাহাজান গংদের পাচিলের সাথে আটকে দিয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সালিশ বৈঠক করেও মাষ্টার আবু মুছা ভ্রাতৃসুলভ আচরন না করে উদ্যাত্ত আচরনে দেশের প্রচলিত আইন ও কোরআনের আইন অমান্য করে যাতায়াতের পথ আটকে দেয়। অনুপায় হয়ে অপর সহোদর ভাই উত্তর পাশের্বর রাস্তা সংলগ্ন অবস্থিত আয়ুব আলীর জমির উপর দিয়ে পশ্চিম পাশের্ব কেমমত ও ইমান আলী দ্বয়ের জমির আইল ঘেঁষে দক্ষিণ-উত্তর রোক বরাবর উত্তর পাশের্বর পীচের রাস্তায় উঠতে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নেতাদের উপস্থিতিতে কেশবপুর থানার এসআই ওজিয়র রহমান আয়ুবের বাড়ির পশ্চিম পার্শ্ব হতে দক্ষিণ-উত্তর রোক বরাবর ৬ ফুটের ১ শতক রাস্তা রেখে দেয়। এ সিদ্ধান্ত বাদী ও বিবাদীগং মেনে নিলেও বর্তমানে সেখানে আয়ুব আলী আমের চারা রোপন করেছে, গর্ত খুড়েছে, বাঁশ-ইট ফেলে রেখে যাতায়াতের অযোগ্য ও বিদপ সংকুল করে রেখেছে।
আবু দাউদ বলেন, তারা আমিসহ আমার পরিবারকে গৃহবন্দী করে রেখেছে। রাস্তার দাবীতে আমার স্ত্রী, সন্তান, মেয়ে-জামাইদের নিয়ে আমার ভাইদের ভয়ে আতঙ্কে আছি। আবু দাউদ আরো বলেন, তারা যোগসাজসে রাস্তার পার্শ্ব হতে নিজেদের ইচ্ছামত পজিশন নিয়ে বসবাস ও ব্যবসা করছে। সবার ভিতরে আমার বাড়ি হওয়ায় সেখানে গাছ-গাছালি লাগাতেও পারি না। ভাইদের বসতী জমির উপর দিয়ে গরু-ছাগল বের করতে ও ইচ্ছামত যাতায়াত করতে পারি না। সকল সময় তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে গালিগালাজ করে। অতীতে মারধরও করেছে। যা নিয়ে সালিশ বিচার হয়েছে। তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানী অব্যাহত রেখেছে বলে জানায়। আবু দাউদ আরো বলেন, আয়ুব আলী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ করে বলে সেই প্রভাব খাটান বলে জানায়।
সরেজমিন ঘটোনাস্থলে যেয়ে ভুক্তভুগী উপস্থিত আবু দাউদের সামনে এবিষয়ে ভাই আয়ুব আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে অনেকবার থানা পুলিশ ও স্থানীয় শালিশ হয়েছে। বর্তমান মামলাও চলমান আছে। আবু দাউদ যখন নারকেল গাছ বিষয় বললে তখন সাংবাদিকদের সামনে আয়ুব আলী গাল মন্দ করে বলে, ‘নারকেল গাছ তোর (আবু দাউদের) পাছায় দিব’ ক্ষমতা থাকলে নিশ। আয়ুব আলী সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ করেছে তদন্ত হলে সবকিছু সমাধান হবে।
আবু দাউদ একজন সহজ, সরল, আইনমান্যকারী হিসেবে পরিবারের সদস্য সহোদর ভাই এর জিম্মি দশা হতে বের হওয়ার জন্য এবং শান্তিপূর্ন সহঅবস্থানের মধ্যে পৈতৃক শরীক সহোদর ভাইদের জমিজমার উপর দিয়ে যাতায়াতের পথ দাবী করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]