যশোরের কেশবপুরের বিল গরালিয়ার আশপাশের ১৭ গ্রামের পানি সরবরাহের একমাত্র পথ হল বিল গরালিয়ার সরকারী খাল। এক শ্রেনীর অসাধু ঘের ব্যবসায়ী ও মাছ ধরা জেলেদর কারনে সম্প্রতি এই সরকারী খাল দিয়ে পানি সরবরাহে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। সরকারী খালে পাটা ও ঘেরে পানি আটকিয়ে রাখার কারণে বিল গরালিয়ার ১৭ গ্রামের নিম্ন অঞ্চলের অনেক বাড়ী এখনো পানিতে আটকানো রয়েছে। পানিবন্দি মানুষরা প্রভাবশালী ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে এখন প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। গুটি কয়েক অসাধু ঘের মালিকদের কারণে গতবছর ইরি-বোরো মৌসুমে বিল গরালিয়ার ১৭ গ্রামের কৃষকরা ধান চাষ থেকে বঞ্চিত হয়। যে কারণে এই এলাকার কৃষকরা এখন চরম অভাব-অনাটনের মধ্য দিয়ে বসবাস করছে। আগামী ইরি-বোরো চাষের দিকে তাকিয়ে এই এলাকার কৃষকরা এখনও আশায় বুক বেঁধে আছে।
১৭ গ্রামের কৃষকদের কথা চিন্তা করে আগামী ইরি-বোরো মৌসুমে বিল গরালিয়ায় যাতে ধান চাষ হয় সেই লক্ষে রবিবার বিকালে বড়েঙ্গা গেট সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে বিল গরালিয় পানি নিষ্কাশন কমিটির আয়োজনে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সভাপতি মজিবার রহমান চাঁনের সভাপতিত্বে জরুরী সভায় বিল গরালিয়া পানি নিষ্কাশন কমিটির সাধারন সম্পাদক নওসের আলী, সাবেক মেম্বর মুনসুর আলী, ঘের মালিক রেজাউল ইসলাম, ইন্তাজ আলী নুনু, তুহিন রেজা, ইসলাম উদ্দীন,আল হেলাল দিলু, ফারুক হোসেনসহ বিল গরালিয়ার জমির মালিক ও ঘের মালিকরা উপস্থিত ছিল।
সভায় সর্ব-সম্মতিক্রমে মজিবার রহমান চাঁনকে আহবায়ক এবং নওসের আলী ও সাবেক মেম্বর মুনছুর আলীকে যুগ্ন আহবায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন কমিট গঠন করা হয়।
কমিটির আহবায়ক মজিবার রহমান চাঁন সাংবাদিকদের বলেন, বিল গরালিয়ার ১৭ গ্রামের কৃষকদের পরিবার ধান চাষের উপর নির্ভরশীল। আর পানি সম্প্রসারনের উপর নির্ভর করছে আগামী ইরো-বোরো চাষ। সরকারী খাল দিয়ে পানি সরবরাহে বাঁধা সৃষ্টিকারী যেই হোক আগামী ইরি-বোরো চাষের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হবে এই কমিটির ঈমানী দ্বায়িত্ব।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]