যশোরের কেশবপুর পল্লীতে ভাই-বোনদের বঞ্চিত করে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকায় আদালত ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
যশোরের অতিরিক্ত বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার মাদারডাঙ্গা গ্রামের মৃত হোসেন আলী গাজীর পূত্র মোবারক আলী গাজী তার সন্তানদের ২টি পদে চাকুরী দেওয়ার শর্তে ১৯৮৫ সালের দিকে পাঁজিয়া এম এম দাখিল মাদ্রাসার নামে ১১১ নং মাদারডাঙ্গা মৌজায় সাবেক ৫৬৮ নং দাগ ও হাল ৬২৩ দাগে ১১ শতক জমি দান করেন। ২টি পদে চাকুরী দেওয়ার শর্ত পূরণ না হওয়ায় পরবর্তীতে পাঁজিয়া এম এম দাখিল মাদ্রাসা অন্যত্র জমি ক্রয় করে সেখানে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত করে। পরবর্তীতে উক্ত দানের সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার জন্য মোবারক আলী গাজীর ৯ ছেলে-মেয়ে বিভিন্ন জায়গায় দেন-দরবার করেন। কিন্তু মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতি যোগসাজগে মোবারক আলী গাজীর ৯ ছেলে-মেয়ের মধ্যে ৮ ছেলে-মেয়েকে বাদ দিয়ে এক ছেলে আফসার আলী গাজীর নামে লিখে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কমলাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরীরত আফসার আলী গাজীর দ্বারা তার ৮ ভাই-বোনদের বঞ্চিত করে জমি জবরদখল করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। আফসার আলী উক্ত বিরোধপূর্ন জমির সামনের পজিশনে ইতিপূর্বে জোরপূর্বক দোকানঘর নির্মাণ করে তা ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে উক্ত জমির পিছনের অংশ জবরদখল করে আফসার আলী সম্প্রতি বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এসময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেয়। এব্যাপারে আশরাফ আলী গাজী বাদী হয়ে তার ভাই আফসার আলী গাজীকে আসামী করে যশোরের অতিরিক্ত বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৬ তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকায় উক্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে কেশবপুর থানার মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
ইমেইলে
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]