যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মাগুখালী বাজার সংলগ্ন দেড় শতাধীক পরিবার পানি বন্দি, জলাবদ্ধতা দুরিকরণে স্থায়ী সমাধানের দাবী এলাকাবাসীর।
উপজেলার কেশবপুর-ভেরচী সড়কের মধ্যবর্তী মাগুরখালী গ্রামের পারদিয়ে বয়ে গেছে ওই সড়কটি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও পরিবহন চলাচলের একমাত্র ভরসা সড়কটি। কিন্তু সড়কের উত্তর পাশের প্রায় ৪০০পরিবারের বসবাস। সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে ১৫০টি পরিবার। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যাবস্থা না থাকার ফলে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে তারা। গত শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, কেশবপুর-ভেরচী সড়কের উপর দিয়ে রাস্তার দক্ষিন পাশে উপচে পড়া পানির স্রোত। ভেঙ্গে যাচ্ছে পিচের রাস্তা কেউ বসত বাড়ি বাঁচাতে ইট, কলাগাছ ও খড়কুটা দিয়ে ¯্রােতের গতিরোধ করার চেষ্টা করছেন। এসময় মাগুরখালী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাস্টার মোস্তফা কামাল লিটন জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য পথ ছিল দুইটি কালবার্ট। কয়েক বছর আগে নির্মিত হয়েছিল কালবার্ড দুইটি। অপরিকল্পিতভাবে বাজারে দোকান-পাট, বাড়ী-ঘর গড়ে উঠার ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ ভারী বর্ষনে পানি বন্দি হয়ে পড়ে প্রায় ১৫০টি পরিবার। সে থেকে রক্ষা পেতে একটি কালবার্ডের পানি নিষ্কাশন পথ স্বচল করতে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছেন এলাকাবাসী।
এসময় দেখাগেছে, মাগুরখালী বাজারের ২০০গজ দুরে মাগুরখালী-পাঁজিয়া সড়কের পাশে গোপাল দাসের বাড়ির পিছনে পূর্বের পানি নিষ্কাশনের কালবার্ড রয়েছে ব্যাক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে। পানি সরাতে হলে গোপাল দাসের বাড়ির জমির ওপর দিয়ে ড্রেন কেটে পানি সরানোর একমাত্র উপায়। মাগুরখালী বাজার কমিটির সভাপতি ও পানি নিষ্কাশন কাজের প্রধান উদ্যোগতা মাস্টার মোস্তফা কামাল লিটন এলাকার জলাবদ্ধ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য এলাবাসীর সেচ্ছাশ্রমে ড্রেন কেটে বড় পাইপ স্থাপন করে পানি নিষ্কাশন করার ব্যবস্থা করেন।
এসময় গোপাল দাসের স্ত্রী ড্রেন কাটতে বাঁধা দেন এবং ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে কেশবপুর থানা থেকে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন বিট পুলিশিং এস,আই আবুল হোসেন দ্রæত পানি নিষ্কাশন এলাকায় ছুটে আসেন। বিট পুলিশিং এর সহযোগিতায় বাধা মুক্ত হলো নিষ্কাশন পথ। এস,আই আবুল হোসেন জানান, সাময়িক ভাবে জলাবদ্ধতা কমবে কিন্তু এখানে একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করার জন্য এলাকাবাসীকে পরামর্শ দিয়েছি। জনাগেছে, গত শুক্রবার এ বিষয়ে মাগুরখালী বাজারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে জলাবদ্ধতা দুরীকরনের জন্য একটি জরুরী মিটিং হয়। সে সময় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে গোপাল দাসের বাড়ির জমির ওপর দিয়ে ড্রেন কেটে পাইপ স্থাপন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওই সময় উপস্তিতগন পানি নিষ্কাশন কাজের দায়ীত্ব মাস্টার মোস্তফা কামাল লিটনের উপর অর্পণ করেন।
এসময় আওয়ামী লীগের ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি পবিত্র মিত্র , সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, ওয়ার্ড মহিলা ইউপি সদস্য নাসরিন আক্তারসহ পানিবন্ধি নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত জনতা পানি নিষ্কাশনে স্থায়ী সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]