যশোরের কেশবপুর পৌর আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিক টিটো যৌথবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেশবপুর শহরের হাসপাতাল পাড়াস্থ নিজ বাসভবন থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে। গোপন সংবাদের ভিত্ততে এই অভিযান চালানো হয়। আটক টিটো উপজেলার ত্রাস হিসাবে চিহ্নত।
জানা গেছে, যশোর-৬ কেশবপুর অসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এর কতিথ এপিএস এবং পৌর মেয়র রফিকুল বাহিনির প্রধান ও পৌর আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিক টিটোকে বুধবার সন্ধ্যায় কেশবপুর শহরের হাসপাতাল পাড়াস্থ নিজ বাসভবন থেকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে মানুষকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি এবং নিয়োগ বাণিজ্যের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সে এক সময় দন্ত চিকিৎসক ছিল। রোগী দেখে আয়ের টাকায় তার সংসার চলত। হটাৎ করে আওয়ামীলীগ নেতা বুনে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যান টিটো। অল্পদিনেই কালো টাকার মালিক হয়। তার বাড়িতে টাকা গণনার মেশিন ছিল। প্রকাশ্যে অন্যায় অপরাধ করেও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াত সবসময়। কথিত এপিএস ও মেয়র রফিকুলের ভাগ্নে হওয়ায় তার নামে থানায় কেউ মামলা করার সাহস পায়নি। হাট বাজার ইজারা, হাসপাতালের টেন্ডার সহ উপজেলা পরিষদের সকল টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণ করত সে। উপজেলা ব্যাপী যত শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে সমুদয় টাকা টিটো নিজ হাতে গ্রহণ করতেন। নিজস্ব বাহিনীর তৈরি করে শহরের মহড়া দিতেন। তার বাড়ি টর্চার ছেলে একাধিক ব্যক্তি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমনকি কেশবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলামকে উপজেলা পরিষদের সামনে প্রকাশ্যে জুতা দিয়ে পিটান। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। এলাকাবাসী ওই কথিত এপিএস এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে সন্ত্রাসী আলমগীর সিদ্দিকি ওরফে টিটো কে গ্রেপ্তারের দাবী জানালেও তৎকালীন কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
আলমগীর সিদ্দিকি ওরফে টিটোর আটকের কথা শুনে শহরের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]