সোহেল পারভেজ, কেশবপুর: ৮ দীর্ঘ মাস জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন না থাকার খবর শুনে যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে ৩০০ পিস জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন নিয়ে হাজির উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন। যা ৪০০ জন রোগীকেও দেয়া যাবে।
যশোরের কেশবপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কু'কুর, হনুমানে কা'মড়ালে হাসপাতালে পাওয়া যাবে ভ্যা'কসিন।
গত সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন ৩০০ পিচ অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীরের নিকট।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমুল হক।
জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন প্রদানের ছবি ও ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন একজন মানবিক ও সৎ সাহসী প্রশাসন হিসেবে আলোচনা এসেছেন। তিনি সবসময় উপজেলা বাসির জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করে তুলেছেন। অনেকেই বলেছেন এমনটি যদি অন্যায় অপরাধ "মব ভাবলেন্স" সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর বলেন, গত নভেম্বর মাস থেকে হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন ছিলো না। যে কারণে বিভিন্ন প্রাণির কামড়ে আক্রান্তরা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে বাইরে থেকে অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন কিনতে হয়েছে। কবে নাগাদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন বরাদ্দ দেওয়া হবে, তা তিনি বলতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন বলেন, হাসপাতালে অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন না থাকার বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাসপাতালে ৩০০ পিচ অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। একই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ৫ হাজার মাস্ক প্রদান করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]