তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে রোববার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে বেসরকারিভাবে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
ফলে দেখা যাচ্ছে, ৯৭ শতাংশ ভোটগণনা শেষে প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। খবর ডেইলি সাবাহর।
এতে এরদোগান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় রানঅফ বা দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৮ মে। ধারণা করা হচ্ছে, রানঅফে এরদোগানই বিজয়ী হবেন এবং তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের মসনদে বসবেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন পার্লামেন্টের ৬০০ এমপি নির্বাচনেও ভোটগ্রহণ হয়েছে। ৯৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোটগণনা দেখা যাচ্ছে, এরদোগানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স জোট পেয়েছে ৩২৩ আসন। এর মধ্যে একে পার্টি একাই ২৬৭ আসনে জয়ী হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জয়ী হয়েছে ২১১ আসনে।
এদিকে তুরস্কের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা কামাল কিলিচদারোগলু বলেছেন, শতভাগ ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) মাঠে থাকবে।
নির্বাচনের ফল নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো কথা বলেন তিনি। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, যেসব কেন্দ্রে আমরা ভোট বেশি পেয়েছি শাসক দল সেখানে ফলে আপত্তি তুলেছে। অনেক কেন্দ্রে ১১ বারও বেশি আপত্তি করা হয়েছে।
তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি তুরস্কের জনগণের ইচ্ছাকে বাধা দিচ্ছেন। ভোটে আপত্তি তুলে আপনি জনগণের ইচ্ছাকে আটকাতে পারবেন না। নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে ভোট নিয়ে এখনো কোনো কথা বলেননি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি শিগগির কথা বললেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন কর্মী-সমর্থকরা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]