নিজস্ব প্রতিনিধি: চাপড়ার মাটিতে কোন অন্যায়কারী জায়গা হবে না। বিগত আওয়ামী লীগের শাসন আমলে আশাশুনি উপজেলার চাপড়াকে যারা উত্তপ্ত করেছে তাদের আজ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সময় বদলেছে সব কিছু হিসাবে দিতে হবে।
মঙ্গলবার(২০ আগস্ট) বিকালে চাপড়ায় স্থানীয় জনগনের সাথে মত বিনিময় সভায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গাউসুল হোসেন রাজ এসব কথা বলেন।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের বাড়িতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা পর গাউসুল হোসেন তার চাপড়ার নিজস্ব অফিসে এলাকাবাসীর সাথে মত বিনিময় কালে এসব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এসময় রাজ বলেন, পাপ কখনো বাপকে ছাড়ে না, শুধু সময়ের অপেক্ষা। ২০১৬ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান আমার হ্যাচারি থেকে পোনা নিয়েছিল এখনো ২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা তার কাছে পাবো,টাকাতো দেইনি আবার টাকা চাওয়ার কারনে আমার ঘের দখল করে নিয়েছিল। চুই বেড়িয়া বেড়ি বাধ ভেঙ্গে গেলে সেখানে সংস্কারের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মুস্তাকিম টাকা ধার নিয়েছিলেন তার মধ্যে এক লক্ষ টাকা এখনো আমাকে ফেরত দেয়নি। তিনি তার পাওনা টাকা ফেরত সহ ঘের লুটপাটের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা।
তিনি বলেন, আমার সাথে যদি এমন করতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষের সাথে কি করেছে তা একবার ভেবে দেখেন। এলাকার বহু মানুষের জমি নিয়ে তিনি ঘের করেন কিন্তু ঠিক মত হারির টাকা দেন না।
গাউসুল হোসেন রাজ আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাপড়া তথা আশাশুনি উপজেলা বাসীর সেবা করে যাচ্ছি। আগামী দিন গুলোতে একই ভাবে উপজেলা বাসীর সেবক হিসেবে আপনাদের পাশে থাকবে চাই।
মতবিনিময় সভার শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ছাত্র জনতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া।
এসময় মহিউদ্দিন আহমেদ,মাহবুবুর রহমান মাবু, হাজী দবির উদ্দীন, আনিসুর রহমান আনিচ, মনিরুল ইসলাম বাবু, আসলাম, মহিবুল্লাহ, বিলু, কাজল, স্বজলসহ শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]