বয়সের সঙ্গে কোলেস্টেরলের কোনো সম্পর্ক নেই। যেকোনো বয়সেই বাড়তে পারে কোলেস্টরেলর মাত্রা। ব্যস্ততম জীবনে নিয়ম মেনে চলার অবকাশ থাকে না একেবারেই। রাতজাগা থেকে বাইরের খাবার খাওয়া, দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী এখন এগুলোই।
দীর্ঘ এই অনিয়মের হাত ধরেই শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। কোলেস্টেরল থেকে যতদিন দূরে থাকা যায়, ততই ভালো। কারণ কোলেস্টেরল একবার ধরা পড়লে সহজে তা কমানো মুশকিল। খাওয়াদাওয়াতেও নিয়ম মেনে চলতে হয়। কোলেস্টেরল বাড়লে অনেক কিছুই খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে কয়েকটি পানীয় রয়েছে, যেগুলো নিয়ম করে খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ।
কমলালেবুর রস: শীত না পড়লেও বাজার উঠেছে কমলালেবু। কমলালেবুর রস খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। চিকিৎসকেরা জানান, প্রতিদিন দুকাপ করে কমলালেবুর রস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। কমলালেবু শুধু কোলেস্টেরল নয়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
বেরির স্মুদি: ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফাইবার। কম ফ্যাট যুক্ত দুধের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার বেরি মিশিয়ে তৈরি করে নিন স্মুদি। কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে সকালের নাশতায় বেরির স্মুদি রাখতে পারেন। সপ্তাহে ৩ দিন খেলেই হবে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
গ্রিন টি: শরীর ঝরঝরে রাখতে অনেকেই রোজ গ্রিন টি খান। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি কোলেস্টেরলের সঙ্গে লড়তেও গ্রিন টি অত্যন্ত উপকারী। গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটাচিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গবেষণা জানাচ্ছে, দুমাস একটানা রোজ গ্রিন টি খেলে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা ১৪ শতাংশ কমে যায়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]