সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে অবস্থতি ‘মক্কা ক্লক’ টাওয়ারে বজ্রপাতের বিরল দৃশ্য ধরা পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সৌদির ফটোগ্রাফার আবদুল্লাহ আল শরিফ বিরল দৃশ্যটি ধারণ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ি ‘মক্কা ক্লক’। এটি পবিত্র মসজিদুল হারামের পাশে অবস্থিত। চতুর্মুখী ক্লক টাওয়ারে বজ্রপাত আঘাতের বিরল দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ দেখেন।
মক্কা নগরীতে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে চতুর্মুখী ঘড়িটি লাগানো হয়েছে। এক মুখে লাগানো হয়েছে ৯ কোটি ৮০ লাখ পিস গ্লাস মোজাইক। শিলালিপির ওপর শৈল্পিক কারুকার্যে অলঙ্করণ করে আরবিতে লেখা আছে ‘আল্লাহু আকবর’ শব্দগুচ্ছ, যা ২১০০০ রঙিন বিজলি বাতির আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।
সৌদি ফটোগ্রাফার আবদুল্লাহ আল শরিফ বলেন, আকাশে মেঘ জমা ও বজ্রপাতের আলোকদৃশ্য ধারণ করতে উঁচু ভবনের ছাদে যাই। আকাশে বজ্রপাত শুরু হলে সেটি ধারণ করতে থাকি। এক পর্যায়ে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে ‘মক্কা ক্লক’ টাওয়ারে বজ্রপাতের দৃশ্যের ছবি ধারণ করতে সক্ষম হই। এটি বিরল দৃশ্য।
তিনি আরও বলেন, বজ্রপাতের দৃশ্য ধারণ করা আমার খুবই সখ। এজন্য দূরবীক্ষণ যন্ত্র ও আবহাওয়ার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করায় কয়েক ক্লিকেই ছবি তোলা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, পবিত্র মক্কা শরিফে আসা মুসলমানের অনেকেই জানে না যে, সেই সুবিশাল ‘মক্কা ক্লক’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ি। ওটা শুধু বড়ই নয়, নতুনত্বের দিক দিয়েও শ্রেষ্ঠ। সূত্র : আল আরাবিয়া
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]