ছাত্রদের না পড়িয়ে ক্লাসেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন শিক্ষিকা। বিষয়টি নজরে আসে প্রধান শিক্ষকের। তৎক্ষণাৎ তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় শিক্ষিকার ছবি মোবাইলে তুলে ফেলেন। এরপরই ঘটে তুলকালাম কাণ্ড। ছবি তোলার অপরাধে পরিবারের লোকদের ফোন করে ডেকে এনে স্কুলেই প্রধান শিক্ষককে বেদম পেটান শিক্ষিকা ও অন্যরা। গণপিটুনি খেয়ে গুরুতর জখম হন প্রধান শিক্ষক।
এমনই চঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বিহারের সুপৌল জেলার ছাতাপুর ব্লকের ঝকারগড় মক্তব মিডিল স্কুলে।
জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১১টা নাগাদ ছাতাপুর ব্লকের মক্তব মিডিল স্কুলের প্রধানশিক্ষক মহম্মদ রইস আলম পর্যবেক্ষণ করছিলেন স্কুলকক্ষ। চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাসরুমে গিয়ে তিনি দেখেন ক্লাস টিচার সাজদা খাতুন ছাত্রদের না পড়িয়ে চেয়ারে বসেই ঘুমাচ্ছেন। বিষয়টি দেখার পর ঘুমন্ত শিক্ষিকাকে ডাকাডাকি করলেও ঘুম ভাঙেনি। সেই সময়ই তিনি নিজের মোবাইল ফোনে শিক্ষিকার ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন বলে অভিযোগ। এরপরই ঘুম ভেঙে যায় শিক্ষিকার। প্রধান শিক্ষককে ছবি তুলতে দেখে রেগে লাল হয়ে যান শিক্ষিকা সাজদা খাতুন। ছাত্রদের সামনেই প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজ করেন তিনি। প্রধানশিক্ষকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ফোন করে ডেকে আনেন পরিবারের লোকজনদের। শিক্ষিকার ফোন পেয়ে দলবল নিয়ে স্কুলে আসে পরিবারের লোকেরা। স্কুলেই প্রধান শিক্ষককে তাঁরা গণপিটুনি দেয় বলে অভিযোগ। কেড়ে নেওয়া হয় শিক্ষকের মোবাইল ফোনটি ও বাইকের চাবি। সহকর্মীরা কোনও ক্রমে মারমুখী যুবকদের হাত থেকে উদ্ধার করেন প্রধান শিক্ষককে। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রধান শিক্ষক মহম্মদ রইস আলমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় ছাতাপুর গ্রামীন হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এদিকে ঘটনার পর প্রহৃত মাস্টারমশাই অভিযুক্ত শিক্ষিকা ও স্বজনদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাতাপুর থানায়। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন জেলার শিক্ষক মহল। অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। যদিও ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন শিক্ষিকা। অবশ্য ঘটনাটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি জেলা শিক্ষা দপ্তরের কর্তারা। তদন্ত শুরু করেছে ছাতাপুর থানার পুলিশ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]