হেলাল উদ্দিন, মনিরামপুর: বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে যশোরের মনিরামপুর। চলতি মাস জুড়েই এ তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়- বৃহস্পতিবার যশোর অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো এরিপোর্ট দুপুর ১টায় প্রায় ৪৯ ডিগ্রির সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
আবহাওয়াবিদরা জানান- পুরো মাস জুড়েই মাঝারি ও মৃদু তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এরই মধ্যে মাঝে মাঝে লোডশেডিং হচ্ছে। এতেই আরও বিপদমুখি হচ্ছে মানুষ।
মনিরামপুর এলাকার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবি ও কর্মজীবিদের জীবন যেন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটতে হচ্ছে তাদের। গ্রামের মানুষেরা এই তীব্র গরমের মধ্যে ঠিকমত বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে না এতে আরও ভোগান্তি হচ্ছে।
হাট-বাজারে দিনের বেলা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ উঠছে না। রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে প্রচন্ড তাপে। রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কথা হয়, উপজেলার হানুয়ার গ্রামের পল্লী চিসিৎসক সিরাজুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন- গরমে মানুষের অবস্থা অনেক খারাপ। খেটে খাওয়া মানুষগুলো
এই প্রচন্ড রোদের তাপ ও গরমের মধ্যে কাজ করছে। এতে হিটস্ট্রোক সহ নানাবিধ রোগবালাই হতে পারে। প্রত্যেকের সে দিকে নজর রাখতে হবে। মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের ফুটপথে পণ্য বিক্রেতা মোসলেম উদ্দিন বলেন- কষ্টের তো শেষ নেই। সারাদিন রোদের ভিতর দাড়িয়ে থেকে ফল বিক্রি করতে হয়। এই গরমে খুব কষ্টে আছি।
একজন বেসরকারি চাকরী জীবি বলেন- বাইরে তো গরমের জন্য এক ঘন্টাও থাকা যায় না। বাসায়ও গরমে নাজেহাল অবস্থা। মাথার উপর ফ্যান ঘোরে, কিন্তু সেই বাতাসও গরম। দিনের বেলায় বাসায় গোসল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। সবদিক মিলিয়ে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]