সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ। তবে নতুন করে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কোনো আবেদন পায়নি আইন মন্ত্রণালয়।
রোববার (৫ মার্চ) রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এখনো হাতে পাইনি। পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ দিন রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সরকারি মামলার বর্তমান অবস্থা জানার ট্র্যাকিং সিস্টেম সলট্র্যাকের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে এবং সরকারি সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এই ট্র্যাকিং সিস্টেম তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে সরকারের ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ৩৫৩টি অধিদফতর, ৮ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব সরকারি দফতর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলার অবস্থা জানা যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ (ষষ্ঠ দফা) ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার মুক্তির মেয়াদকাল আগামী ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে। গতবার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ষষ্ঠ দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল খালেদা জিয়ার পরিবার।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাবরণ শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।
সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবরণের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া প্রায় ৪ বছর ধরে গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। মাঝে অনেকদিন নানা শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। যদিও শুরু থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তবে এখনো তার জামিন মেলেনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]