খুলনা মহানগরীতে অর্ধগলিত অবস্থায় এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নগরীর ট্যাংক রোড এলাকার একটি বাড়ির চিলেকোঠা থেকে মো. আল-আমিন সবুজ (৩০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ আত্মহত্যা না হত্যাকাণ্ড—সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সবুজের মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের বোন জানান, ট্যাংক রোডের এই বাড়িটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের চাচা ও চাচাতো ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে খুলনা সদর থানায় মামলাও রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এটা আমাদের বাবার বাড়ি। কিন্তু চাচা ও চাচাতো ভাইরা আমাদের এখানে আসতে দেয় না। আমার ভাই সবুজ প্রায়ই আসতো এই বাড়িতে। তখন তারা তাকে মারধর করতো। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সবুজ বাড়ি থেকে বের হয়, এরপর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে খুঁজতে খুঁজতে এই বাড়িতে এসে দেখি তার অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ। আমার বিশ্বাস, আমার চাচা ও চাচাতো ভাইরা তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে সবুজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকার কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, বাড়িটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছে। সবুজকে পূর্বে একাধিকবার মারধরের খবরও তারা শুনেছেন। তবে ঘটনার দিন বা রাতের বিষয়ে স্থানীয়রা তেমন কিছু জানাতে পারেননি।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহের অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। হত্যাকাণ্ড না আত্মহত্যা—তা জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে যুবকের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]