সাভারের বলিয়ারপুর থেকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে এসেছেন মোহাম্মদ রহমত। গরুর হাড় কোপাতে গিয়ে নিজের বাম হাতে কোপ মেরেছেন। এর ফলে বাম হাতের রগ কেটে গেছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার করা না হলে হাতে কেটে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে রহমতকে দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে পাঠায় নিটোরের জরুরি বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) নিটোর ঘুরে দেখা গেছে, অনেকে গরু জবাই দিতে গিয়ে গরুর লাথি ও গুতা খেয়ে হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে কাতরাচ্ছেন। কোরবানির গরু জবাই দিতে গিয়ে ছুরি ফসকে ও মাংস প্রস্তুত করতে গিয়েও অনেকে হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলেছেন।
কোরবানির গরু জবাই করার সময় সহায়তা করতে গিয়ে হাত ফসকে রগ কেটে গেছে রাজধানীর মিরপুর এলাকার মামুন নামে এক তরুণের। এখন পঙ্গু হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে কাতরাচ্ছেন ওই তরুণ। ডান হাতের ৩০ শতাংশ কেটে দুই ভাগ হয়ে গেছে।
কলাবাগান এলাকা থেকে এসেছেন রাসেল। বাম হাতের তিনটা আঙুল কেটে পড়ে গেছে। তিনি এখন পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি।
নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে এসেছেন চাঁদ মিয়া। ট্রলিতে ঠেলে তাকে এক্স-রে রুমে নেওয়া হচ্ছে। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা গেছে কোমরের হাড় ভেঙে গেছে।
চাঁদ মিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে আসা বড় ভাই মিন্টু মিয়া বলেন, গরু জবাই দেওয়ার সময় রশি দিয়ে ভালোভাবে বাঁধা হয়নি। যখন হুজুর জবাই শুরু করেন, এমন সময় গরু পা দিয়ে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছে। এর পরে পড়ে গিয়ে হাড় ভেঙে গেছে।
শেওড়াপাড়া থেকে এসেছেন সৈয়দ শফিউল হক। গরুর মাংস প্রস্তত করতে গিয়ে ডান হাত জখম হয়েছে। মাংস প্রস্তুত করতে গিয়ে হাড়ে কোপ মারার সময় ছুরি ফসকে যায়। এতে জখম হন তিনি।
আশুলিয়া থেকে এসেছেন মোক্তার হোসেন। গরু জবাই দেওয়ার সময় হুজুরকে সহায়তা করতে যান মোক্তার। এসময় গরু নড়ে উঠলে গরুর গলায় ছুরি না চালিয়ে মুক্তারের হাতে চালিয়ে দেন। এতে মোক্তারের বাম হাতের রগ কেটে গেছে। এখন ওই হাত রাখা নিয়ে শঙ্কা দেখা গেছে।
সকাল থেকেই নিটোরে এমন শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। হঠাৎ রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন নিটোরের চিকিৎসক ও কর্মীরা। সূত্র : জাগোনিউজ২৪
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]