রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদন সংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথিপত্র গায়েব হওয়ার ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাজউকের চেয়ারম্যানকে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। এর আগে একটি দৈনিকে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন নজরে আনেন দুর্নীত দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি আবারও শুনানির জন্য আসবে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব গ্রাহকের নথিপত্র হারিয়েছে; তারা ২০১৯ সালের মে মাস থেকে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমোদন পেতে আবেদন করেছিলেন।
এই নথি হারানোর কারণে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হতে পারে। যেমন অনেকেই ভবন বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চান। তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য রাজউকে চিঠি পাঠায়। নথি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ওই গ্রাহকের ব্যাংক ঋণ পেতে সমস্যা হবে।
অন্যদিকে নথি হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে কোনো গ্রাহক চাইলে রাজউক অনুমোদিত মূল নকশা ঘষামাজা করে অনিয়ম করতে পারবেন। এতে রাজউকের বাধা দেয়ার সুযোগও কম থাকবে। কারণ, চ্যালেঞ্জ করার মতো নকশা এখন রাজউকে নেই। আবার ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ ভবনের উচ্চতা বাড়ালেও রাজউক ধরতে পারবে না, বলছে রাজউকের কর্মকর্তারা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]