ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়েই দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ঘন কুয়াশা নিয়ে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার দেখা মিলছে। ঘাসের ডগায়, ধানের পাতায় জমছে শিশির বিন্দু। পায়ের স্পর্শে অনুভূত হচ্ছে হিমেল পরশ। সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে মিষ্টি রোদ আর সবুজ ঘাসের পাতার ওপর শিশির বিন্দু জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়ায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফুটিত চারা। তাতে শিশির বিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা।
ভোরে ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার সিগ্ধতার মাখামাখিতে এখন এক অন্য রকম প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। কুয়াশামাখা মনোরম পরিবেশ উপভোগ করে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন ভোরে ফজরের নামাজের মুসল্লি, হাঁটতে বের হওয়া মানুষ ও কাজে বের হওয়া শ্রমিকরা।
‘বাঁশ কোড়ল নয়, পেট ভরে ভাত খাবে পাহাড়িরা’
এদিকে কুয়াশার কারণে এবার শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, এখন আর রাতে ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। শেষ রাতে কাঁথা বা পাতলা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। তবে ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীত আসতে দেরি আছে।
অন্যদিকে শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। মুলা, লাউ, টমেটো, লালশাকসহ বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।
উপজেলার মমিনপাড়া গ্রামের আব্দুল আওয়াল জানান, ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে এমন ঘন কুয়াশা গত কয়েক বছর দেখেনি উপজেলাবাসী। তবে হাঁটতে খুব ভালো লাগছে, আজকে সকালের ঘন কুয়াশা বলে দেয় শীত আসছে।
পথচারী বারেক হোসেন জানান, কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা পড়ে গেছে, এতে হয়তো শীতের আগমন ঘটছে। সব মিলিয়েই আমাদের এ বাংলাদেশের ছয় ঋতুর কিছুটা পরিবর্তন ঘটছে।
ভ্যানচালকে রবি হোসেন জানান, ঘন কুয়াশা মানেই শীত আসার নমুনা। সকালের স্নিগ্ধ আবহাওয়া ভালোই লাগছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ বলেন, সকালে ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। সকাল ৬টায় ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) হালকা বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ মেঘলা ছিল।
সূত্র:কালবেলা
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]