আশাশুনিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভাংচুর, লুট ও ঘের জবর দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার বেলা ১২টায় আশাশুনি প্রেসক্লাব হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আশাশুনি সদরের শহিদুল গাজীর মেয়ে মোছাঃ ফাতেমা বেগম বলেন, তারা অসহায় হতদরিদ্র ভুমিহীন শ্রেণির সাধারণ মানুষ। মাত্র ১.৫শতক সম্পত্তির তাদের বসবাস। তিনি আরও বলেন তার চাচা রফিকুল ইসলাম গাজীর নামে আবেদন পূবক সরকারী ভাবে ৫০শতক খাস জমি ইজারা নিয়ে ধান ও মাছ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। উক্ত সরকারী খাস সম্পত্তি অবৈধ্যভাবে জবর দখল করতে স্থানীয় প্রভাবশালী নাশকতা মামলা আসামী আবু হাসান বকুল মরিয়া হয়ে ওঠে। এমনকি ফাতেমা বেগম সহ তার পরিবারের সদস্যের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তকালে সঠিক কাগজপত্র না দেখাতে পারায় আবু হাসান বকুল এর অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়। কিন্তু বিগত ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর উক্ত নালিশী সম্পত্তির ঘেরে বাঁধ কেটে দেওয়াসহ ঘেরের বাসা ভেঙ্গে দেয় প্রতিপক্ষরা। লিখিত বক্তব্যে ফাতেমা বেগম আরও বলেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর উপজেলা চেয়ারম্যান সকল নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু একটি স্বার্থন্বেশী মহল নিজেদের ফায়দা লটানোর জন্য ১৪৫ধারা আদেশ থাকা স্বর্ত্বেও ৩১মে স্থানীয় ইউসুফ এর নেতৃত্বে ১০/১৫জনের একটি সন্ত্রাসী দল জোর পূর্বক ঘেরের বাঁধ কেটে বকুল ইসলামের ঘেরের সাথে মিশিয়ে দিতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিনুর রহমানকে অবগত করলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে ধাওয়া করলে জবরদখলকারীরা দ্রæত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ফাতেমা বেগমের পরিবার অসহায় হওয়ায় প্রতিপক্ষ তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে সর্বশান্ত করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফাতেমা বেগম তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো ডাল ভাত খেয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে বেঁচে থাকতে এবং প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও রেশানলের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]