চুয়াডাঙ্গায় মোবাইল নিয়ে বিরোধের জেরে ইমন আলী (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। রোববার রাতে সদর হাসপাতাল এলাকার ইসলামী হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ইমন আলী চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার চক্ষু হাসপাতাল পাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে ও ভি.জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালে আহত ইমনের শয্যাপাশে থাকা তার পরিবারের সদস্যরা বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে ইমন ও তার বন্ধুদের মাঝে মোবাইল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে তার বন্ধু সবুজ হোসেন ও শিশির আলী দু’জন মিলে ইমনকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে।
ইমনের বাবা আতিয়ার রহমান অভিযোগ করে বলেন, গেল শনিবার ইমনের বন্ধুরা সদর হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত তার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওইদিন উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়। রোববার তারা ইমনকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইমনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ইমনের কোমরে, ডান পায়ে এবং মাথায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তার কোমরের হাড় কেটে গেছে এবং সেখানে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, তাদের ভেতর যে গোলযোগ ছিল উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে মীমাংসা করা হয়েছিল। পরে তাকে কোপানোর বিষয়টি শুনেছি। এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]