ডান চোখের আলো নিভে গেছে খাঞ্জাব আলীর। তার বয়স (৫৫)। পেশায় দিনমজুর-কৃষক। বাবা ইদু গাজী অনেক আগে মারা গেছেন। স্ত্রী সাবুরা খাতুনের (৪৫) হবে বয়স। সে ডায়াবেটিস রোগে ভুগছে ১০ বছর ধরে। খাঞ্জাব আলীর ৩ মেয়ে জুলেখা, রেখা ও শিখা। এদের সকলের বিয়ে হয়ে গেছে। কোনো ছেলে নেই খাঞ্জাবের।
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের কাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা খাঞ্জাব আলী।
মাঝের পাড়া প্রাইমারী স্কুলের দক্ষিন পাশ দিয়ে পুকুরের দাড়ি বেয়ে যেয়ে একটি বাড়ি পেরুলেই ৩ কাটা জমির ওপর তার বসত ঘর। টিনের বেড়া আর টালির ছাউনি বিশিষ্ট এক কামরার ছোট্ট ঘরটি ছবির মত দেখতে।
খাঞ্জাব আলী জানান, 'প্রায় ৮ বছর আগে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে বাম চোখে কুটো পড়ে খাঞ্জাবের। দু'বছর ভোগার পর ১৬ হাজার টাকা দিয়ে চোখ অপারেশন করে নেয়। সেসময় ডাক্তার বলেছিলো এক বছরের ভেতর তার ডান চোখটিও অপারেশন করতে হবে। পয়সার অভাবে খাঞ্জাব তার অন্য চোখটি আর অপারেশন করতে পারেনি। ফলে আস্তে আস্তে চোখের আলো একেবারেই নিভে গেছে। এখন সে মোটেও দেখতে পায়না ডান চোখে। ডাক্তাররা বলেছেন চোখ অপারেশন করলে আবারো দেখতে পাবে খাঞ্জাব। খরচ পড়বে ৪০ হাজার টাকা।'
'কিন্তু এত টাকা সে কোথায় পাবে? তাই হাত পা ছেড়ে নিয়তির ওপর ভর করে বসে আছে খাঞ্জাব আলী। চোখে দেখতে পায়না। তাই কেউ কাজেও নেয়না তাকে' - বলেন তিনি।
খাঞ্জাব আলী আরো বলেন, 'প্রতিবেশী মোস্তাব আলীর এক খন্ড জমি বরগা নিয়ে ফসল ফলিয়ে কোন রকম জীবন ধারণ করে বেঁচে আছে তার পরিবার। সরকারি কোন অনুদান তার ভাগ্যে জোটেনি আজ পর্যন্ত।'
স্ত্রী সাবুরা অঝোরে চোখের পানি ফেললো কিছুক্ষন। জানালেন, 'সেও পয়সার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছেন না। তারও তো বাঁচতে ইচ্ছে করে।'
তাদের চরম এই দুঃসময়ে কেউ পাশে দাঁড়াতে চাইলে ০১৩১৯- ৪৫৮৫৬৬ নম্বরে কথা বলে নিতে পারেন। হয়তো আমাদের সামান্য সহযোগিতা একটি পরিবারকে বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]