সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা। তাদের এই কর্মবিরতির কারণে উপজেলার টিকাদান কর্মসূচি, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং তৃণমূল পর্যায়ের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, কলারোয়া উপজেলা শাখার ব্যানারে এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখেন তারা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কর্মবিরতিতে শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারী অংশ নেন। হাতে ব্যানার নিয়ে তারা দাবি বাস্তবায়নের স্লোগান দিতে থাকেন।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন টিকাদান কর্মসূচি (EPI)সহ তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত স্বাস্থ্য সহকারীরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার। একইসঙ্গে তাঁরা চাকরির স্থায়িত্ব, পদোন্নতি এবং গ্রেড উন্নয়নসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।
তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. নিয়োগবিধি সংশোধন,
২. শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযোজন,
৩. ১৪তম গ্রেড প্রদান,
৪. ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ,
৫. টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, এবং
৬. পদোন্নতিতে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থা।
কলারোয়া উপজেলা হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিমুর জামান মিলন বলেন, “আমাদের এই কর্মবিরতি সারাদেশব্যাপী চলছে। বহু বছর ধরে আমরা একই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি, কিন্তু সমাধান মেলেনি। সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম ভিত্তি। কিন্তু পদমর্যাদা, বেতন কাঠামো এবং পদোন্নতিতে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমাদের দাবি শুধু আর্থিক নয়, এটি সম্মানের দাবিও।”
এদিকে কর্মবিরতির কারণে উপজেলার বিভিন্ন টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। নিয়মিত টিকাদান, গর্ভবতী মায়েদের পরামর্শ সেবা, শিশুর পুষ্টি ও প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী, বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]