নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা'র শ্যামনগরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর হামলার ঘটনায় কাশিমাড়ি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার গাজীর ছেলে মোঃ ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে সাবেক এমপি এসএম আতাউল হক দোলনের ছেলে রাব্বি সরদার,আতাহার শিহাব রাহুল
সহ ১৫ জন আসামি ও অজ্ঞতনামা ১২/১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪ অক্টোবর শ্যামনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাহার নং-০৪।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,আসামিরা হলেন,ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের গুমানতলী গ্রামের সাবেক এমপি এসএম আতাউল হক দোলনের ছেলে রাব্বি সরদার,আতাহার শিহাব রাহুল,শমশের সরদারের ছেলে আকবর হোসেন
শহিদুল ইসলামের ছেলে তুমুল হোসেন বাবু,শহিদুল ইসলামের ছেলে শিমুল হোসেন,মজিবুল্লাহ গাজীর ছেলে রাশিদুল ইসলাম,আজগর সরদারের ছেলে আকাশ সরলার,আজিজ সরদারের ছেলে শাহাজালাল
শমশের সরদারের ছেলে আজগর হোসেন (কালু), জমির গাজীর ছেলে ইয়াকুব আলী,শমশের সরদারের ছেলে মজিবর রহমান,মাওলানা মোহাম্মাদের ছেলে
আব্দুল মান্নান,মজিবর গাজীর ছেলে শাহজান গাজী, নাজির সরদারের ছেলে রব্বানী সরদার,বুরুজ মাঝির ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রনি সহ অজ্ঞাত নামা ১২/১৪ জন উভয় সাং গুমানতলী।আসামিগন আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, গুন্ডা,সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ,দখলকারী, লুটতারাজকারী, পরসম্পদলোভী,আইন অমান্যকারী প্রকৃতির একজোট ভুক্ত ব্যক্তিগন। বাদীর ছেলে রাশিদুল ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি। তার নেতৃত্বে আসাদুল্লাহ সাইফি,আবু তালেব,রোকনুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল সিয়ামের সাথে নিয়ে বাদীর ছেলে সাংগঠিনক দায়িত্ব পালন করার গুমানতলী ফাজিল মাদ্রাসায় ছাত্রদেরকে সংগঠনের দাওয়াত প্রদান করার জন্য যাওয়ার পথে সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আতাউল হক দোলন এর বাড়ীর সামনে পৌছালে ৩নং আসামী আকবর এর হুকুমে উল্লেখিত আসামীগন সহ অজ্ঞাত নামা আরও ১২/১৪ জন আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক পথ গতিরোধ করে এবং আমার ছেলে বই এবং সহযোগী সদস্য ফরম এবং সাংগঠনিক অন্যান্য কাগজপত্র তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। এমতাবস্থায় আমার হাতে থাকা দা, লাঠি, লোহার রড, শাবল, হকষ্টিক, হাতুড়ি, রামদা সহ লাঠি সোটা নিয়ে বে-আইনী জনতাবদ্ধে অতর্কিত ভাবে হামলা করে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট শুরু করে নীলা ফোলা জখম করে। তখন ২নং আসামীর হাতে থাকা অবৈধ পিছুল প্রদর্শন করে এলোপাতাড়ী ফাকা গুলি করতে থাকে। এসময় ১নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আসাদুল্লাহ সাইফি (২০) এর মাথার ডান পার্শ্বে বাড়ি মেরে হাড়ভাঙ্গা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। অতঃপর ৪নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা পুত্রের সহযোগি রোকনুজ্জামান (১৮) কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার বাম পার্শ্বে এবং মাথার পিছনে উপর্যুপরি পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। ১নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড যারা আমার পুত্র রাশিদুল ইসলাম (২৪) কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে উক্ত আঘাত আমার পুত্র বাম হাত দিয়ে ঠেকালে বাম হাতে কনুইয়ের নিচে লেগে হাড়ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। অতঃপর ৩নং আসামীর পুন: নেতৃত্বে ও হুকুমে অন্যান্য আসামীরা জখমীদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাতাড়ী ভাবে পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন আসামীদের সন্ত্রাসী তান্ডব সরাসরি প্রত্যক্ষ করলেও তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র সন্ত্র থাকার কারনে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। অতঃপর আসামীরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র প্রদর্শন করত: শক্তির মহড়া দিয়ে প্রকাশ্যে বলে যে, ঐ এলাকায় ছাত্রশিবিরের কোন নেতা-কর্মী যদি প্রবেশ করে তাহলে খুনজখম করে লাশ গুম করবে মর্মে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ জনক ভয়-ভীতি হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আরো অনেকের সহযোগিতায় ভিকটিমদের চিকিৎসার জন্য শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]